শিবগঞ্জে স্ট্যাটাস দেয়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগের ২ গ্রুপের তুলকালাম কান্ড

প্রকাশিত: ১১:০০ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৬, ২০২০

ফয়সাল আজম অপু, বিশেষ প্রতিনিধি : চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ আওয়ামীলীগের দু গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (২৬ আগস্ট) সকাল এগারটার সময় শিবগঞ্জ বাজার থেকে ডাক বাংলোর মাঝামাঝিতে পৌর মেয়র রাজিন ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আতিকুল ইসলাম টুটুল খানের সমর্থকদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, গত সোমবার রাতে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও পৌর মেয়র কারিবুল হক রাজিনের পক্ষে তার এক সমর্থক ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিলে তার প্রতিপক্ষ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদকের পক্ষে তার এক সমর্থক ফেইসবুকে পাল্টা আরেকটি স্ট্যাটাস দেন।

এনিয়ে গত (২৪ আগস্ট) সোমবার রাতে পৌর এলাকার চকদৌলতপুর এলাকায় দু’গ্রুপের সাথে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এসময় ২টি ককটেলের বিষ্ফোরণ ঘটানো হয়। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি। এরই জের ধরে মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে আবারও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

সোমবার ও মঙ্গলবার মেয়র রাজিন তার সমর্থকদের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে বুধবার (২৬ আগস্ট) সকাল পৌণে এগারটার দিকে শিবগঞ্জ আ’লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করছিলেন। মানববন্ধন চলাকালীন সময়ে উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক টুটুল খানের সমর্থকদের ধাওয়া খেয়ে তারা স্থানীয় একটি দোকানে আশ্রয় নেন।

এর কিছুক্ষণ পরে মেয়র রাজিনের সমর্থকরা আবারো একত্রিত হয়ে টুটুল খানের সমর্থকদের ধাওয়া করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেন। এসময় তারা ডাকবাংলো ও শিবগঞ্জ থানার সামনে আশ্রয় নেন।

এসময় শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুল আলম শাহ্‌ এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ এসে দু পক্ষককেই শান্ত করার চেষ্টা করেন। পরে মেয়রের সমর্থকরা দলীয় অফিসে ও উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদকের সমর্থকরা ডাকবাংলোতে অবস্থান নেন।

ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনার পরে প্রথমে উপজেলা সংবাদ সম্মেলন করেন উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক টুটুল খান। এসময় তিনি তার বক্তব্যে বলেন, রাজিনের ইন্ধনে আমার মাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ গালিগালাজ করা হয়েছে। এছাড়াও শিবগঞ্জের বর্তমান রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলার জন্য মেয়র রাজিনের বিরুদ্ধে শাস্তি দাবি করেন তিনি।

অপরদিকে, আরেকটি পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেন মেয়র রাজিন। এসময় তিনি বলেন, শিবগঞ্জে আওয়ামীলীগকে নিশ্চিহ্ন করতে এক সরকারী কর্মকর্তার নেতৃত্বে টুটুল খানের পেটোয়া বাহিনী উঠে পড়ে লেগেছেন। টুটূল বাহিনীর অত্যাচারে প্রাণ শঙ্কায় রয়েছেন বলেও মেয়র রাজিন তার বক্তব্যে উল্লেখ্য করেন।

শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সামসুল আলম শাহ মুঠোফোনে বলেন, মোবাইলের ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়াকে কেন্দ্র করে, গতরাতে মারামারির সুত্রপাত হয়। তারই ধারাবাহিকতায় আজ বুধবার সকাল থেকেই টান-টান উত্তেজনা বিরাজ করে ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। তবে পুলিশ সুপার আব্দুর রকিবের নির্দেশনায় ও আমার নেতৃত্বে পুলিশের শক্ত অবস্থানের কারনে পরিস্থিতি সান্ত হয়।

এ সংবাদ লিখা পর্যন্ত মাঠে পুলিশের অবস্থান লক্ষ করা গেলেও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছিলো।