রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র: জেনারেটর ও চুল্লি সরঞ্জাম আসছে ডিসেম্বরে

প্রকাশিত: ৬:১৮ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২২, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক : রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পরমাণু চুল্লিপাত্র (রিয়্যাক্টর ভেসেল) ও জেনারেটর ডিসেম্বরে রাশিয়া থেকে বাংলাদেশে এসে পৌঁছাবে। এরপরই এগুলো প্রকল্পে স্থাপন করার কাজ শুরু হবে। সাগরপথে এগুলো ইতোমধ্যেই রওনা হয়েছে বলে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান রুশ কোম্পানি রসাটমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

অটোমেনারগোম্যাশের মহাপরিচালক আন্দ্রেই নিকিপেলোভ জানান, বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এর মধ্যেও চুক্তি অনুযায়ী রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের চুল্লির সরঞ্জাম আমরা পাঠাতে সক্ষম হয়েছি। ১৪ হাজার কিলোমিটার সমুদ্রপথ অতিক্রম করে চলতি বছরের শেষের দিকে এগুলো বাংলাদেশে পৌঁছবে। ৩৩৩ দশমিক ৬ টন ওজনের চুল্লিপাত্র ও ৩৪০ টন ওজনের স্টিম জেনারেটর বিশেষ ব্যবস্থায় স্বয়ংক্রিয় পরিবহনে প্রথমে ভোলগোদোনস্কে সিমলিয়ানস্ক বন্দরের একটি জেটিতে পাঠানো হয়। এরপর সেগুলো নভোরোসিয়েস্কে সিমলিয়ান্সক বন্দরের জেটি হয়ে কৃষ্ণসাগর ও সুয়েজখাল অতিক্রম করে বাংলাদেশে আসবে। চলতি বছরের শেষের দিকে এগুলো বাংলাদেশে পৌঁছবে বলে আশা করা হচ্ছে।

রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুটি ইউনিটের জন্য অটোমেনারগোম্যাশ ১৪ ধরনের সরঞ্জাম তৈরি করবে। এসব সরঞ্জামের মধ্যে রয়েছে রিয়্যাক্টর ভেসেল, স্টিম জেনারেটরের যন্ত্রাংশ, প্রধান সঞ্চালন পাইপলাইন, চাপ কমানোর জরুরি শীতলীকরণ ব্যবস্থা ও নিষ্ক্রিয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

রসাটমের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অনেকদিন আগেই ভিভিইআর-১২০০ চুল্লিপাত্র (রিয়্যাক্টর ভেসেল) ও স্টিম জেনারেটর তৈরির কাজ শুরু হয়ে চলতি মাসের শুরুতেই তা শেষ হয়।

২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের পারমাণবিক চুল্লি নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। ২০১৮ সালের জুলাইয়ে দ্বিতীয় চুল্লির নির্মাণ কাজ শুরু হয়।

সরকার আশা করছে, ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে ১২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন প্রথম ইউনিট থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ শুরু হবে। এর পরের বছর দ্বিতীয় ইউনিট থেকেও বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হবে।