আশা বাঁচিয়ে রাখলো রংপুর

প্রকাশিত: ৯:৪৯ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৯

স্পোর্টস ডেস্ক : পয়েন্ট তালিকায় দুই দলেরই অবস্থান তলানিতে। বলতে গেলে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়ার মতোই অবস্থা রংপুর রেঞ্জার্স আর সিলেট থান্ডারের। এমন জায়গায় দাঁড়িয়ে সিলেটকে আরও বিপদের মুখে ফেলে দিলো রংপুর।

মিরপুরে সিলেটকে ৭ উইকেটে হারিয়ে কাগজে কলমে নিজেদের আশা বাঁচিয়ে রাখল শেন ওয়াটসনের দল। দ্বিতীয় জয়ে ৪ পয়েন্ট এখন রংপুরের। সিলেটের পয়েন্ট মাত্র ২।

১৩৪ রানের মামুলি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খেয়েছিল রংপুর রেঞ্জার্স। অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার শেন ওয়াটসন প্রথমবারের মতো বিপিএল খেলতে এসে টানা ব্যর্থতার গণ্ডিতে আটকা। নিজের প্রথম ম্যাচে করেছিলেন ৫ রান। এবার ১ রানেই সিলেটের পেসার এবাদত হোসেনের বলে বোল্ড হন তিনি।

তবে দ্বিতীয় উইকেটে নাইম শেখের সঙ্গে ৯৯ রানের বড় জুটিতে বলতে গেলে ম্যাচটা বের করে দিয়ে গেছেন ক্যামেরুন ডেলপোর্ট। ২৮ বলে ৬৩ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস আসে প্রোটিয়া এই ব্যাটসম্যানের উইলো থেকে, যে ইনিংসে ৫টি চারের সঙ্গে ৬টি ছক্কা হাঁকান তিনি।

ডেলপোর্টকে তুলে নেয়ার এক ওভার পর লুইস গ্রেগরিকেও (৪) সাজঘরের পথ দেখান নাভিন উল হক। তবে বাকি সময়টায় দলকে আর কোনো বিপদে পড়তে দেননি নাইম আর মোহাম্মদ নবী।

নাইম কিছুটা ধীরগতিতে এগোলেও দলের জয়ে কার্যকর এক ইনিংস খেলেছেন। ৫০ বলে ২টি করে চার ছক্কায় ৩৮ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ২ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় ১২ বলে ১৮ করেন নবী।

এর আগে সিলেট থান্ডারের মোহাম্মদ মিঠুন ব্যতীত আর কেউই তেমন কিছু করতে পারেননি। যার ফলে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩৩ রানের বেশি করতে পারেনি দলটি।

অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার লড়াইয়ে রংপুর অধিনায়ক শেন ওয়াটসন টস জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন। ফিল্ডিংয়ের নেমে সিলেটের ইনিংসের প্রথম ওভারেই আঘাত হানেন আরাফাত সানি, ফিরিয়ে দেন আন্দ্রে ফ্লেচারকে। সে ওভারে কোনো রান খরচা করেননি সানি।

ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে মাত্র ১ রান দেন মোস্তাফিজুর রহমান। প্রথম দুই ওভারে সিলেটের ওপর তৈরি করা চাপ চতুর্থ ওভারে আরও বাড়িয়ে দেন তরুণ পেসার মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ। তিনি সাজঘরে ফেরত পাঠান আরেক ক্যারিবীয় ওপেনার জনসন চার্লসকে। ১১ বল খেলে মাত্র ৯ রান করতে সক্ষম হন চার্লস।

শুরুর ধাক্কা সামলে তৃতীয় উইকেটে মোহাম্মদ মিঠুনের সঙ্গে জুটি গড়েন অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। দুজন মিলে ৮.১ ওভারে যোগ করেন ৫৭ রান। যেখানে মারমুখী ভঙ্গিতে ছিলেন মিঠুন। অধিনায়ক মোসাদ্দেক ধীরেসুস্থে খেলে আউট হন ২৩ বলে ১৫ রান করে।

তবে আসরে নিজের দ্বিতীয় ফিফটি তুলে নেন মিঠুন। এক ম্যাচ আগে ৪৯ রানে অপরাজিত থাকলেও, আজ মোহাম্মদ নবীকে সোজা ছক্কার মারে পৌঁছে যান পঞ্চাশের ঘরে। শেরফান রাদারফোর্ডের সঙ্গে ১৭ বলে ৩৪ রানের জুটি গড়ে ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন। কিন্তু রাদারফোর্ড ৯ বলে ১৬ রানে আউট হওয়ার পর শেষ হয়ে যায় বড় সংগ্রহের সম্ভাবনা।

ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে ৪ চার ও ২ ছয়ের মারে ৪৭ বলে ৬২ রান করেন মিঠুন। সপ্তম উইকেটে ২০ রান যোগ করেন নাইম হাসান ও সোহাগ গাজী। ইনিংসের শেষ ওভারে প্রথম দুই বলে দুজনকেই আউট করেন মোস্তাফিজুর রহমান। হ্যাটট্রিক বলে তিনি উইকেট পাননি, তবে রানআউট হয়ে ফিরে যান মনির হোসেন। শেষতক ইনিংস থামে ১৩৩ রানে।

বল হাতে রংপুরের পক্ষে ৪ ওভারে মাত্র ১০ রান খরচায় ৩টি উইকেট নেন মোস্তাফিজ। এছাড়া ১টি করে উইকেট যায় আরাফাত সানি, মুকিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ নবী ও লুইস গ্রেগরির ঝুলিতে।

হালুয়াঘাটে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও বার্ষিক ফলাফল প্রকাশ