খুলনা ডুমুরিয়া মাজিদিয়া আলিম মাদ্রাসায় নিয়োগে ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগ

প্রকাশিত: ৮:৪৭ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৭, ২০২০

আতিয়ার রহমান,খুলনা অফিস : উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে প্রতিষ্ঠিত খুলনা জেলা ডুমুরিয়া মাজিদিয়া আলিম মাদ্রাসায় তিন কর্মচারী নিয়োগে মোটা অংকের অর্থ বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসী এ নিয়োগ বন্ধের দাবিতে শিক্ষামন্ত্রীসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

ডুমুরিয়া গ্রামের একাধিক প্রতিষ্ঠান প্রধানসহ গণস্বাক্ষরিত লিখিত এ অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, ডুমুরিয়া মজিদিয়া আলিম মাদ্রাসায় গত ২৪ জুলাই অফিস সহকারি, নিরাপত্তা প্রহরী এবং আয়া নামক ৩ টি শূন্য পদে নিয়োগ পরিক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। লিখিত অভিযোগে দাবি করা হয়, ওই প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের বর্তমান সভাপতি শেখ নাজিবুর রহমান ও প্রিন্সিপ্রাল মাওঃ বদিউজ্জামান এবং কয়েকজন সদস্যর যোগসাজসে তাদের পছন্দের প্রার্থীদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

বিনিময়ে ৩ প্রার্থীর কাছ থেকে প্রায় ১৬ লাখ টাকা উৎকোচ গ্রহন করা হয়েছে বলে লিখিত অভিযোগে দাবি করা হয়েছে। শেখ মোমিন সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি শাহনেওয়াজ বিশ্বাস শিমুল, রফিকুজ্জামান এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডের সভাপতি মোঃ রফিকুল ইসলাম মোড়ল, ডুমুরিয়া শেখ আব্দুল কাদের ফাউন্ডেশনের সভাপতি আলহাজ্ব শেখ আব্দুল কাদের, ডুমুরিয়া বড় বাজার ধান ও চাল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপিত মোঃ আতিয়ার রহমান বিশ্বাস, ডুমুরিয়া ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আফজাল ঢালী, সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াছ বিশ্বাস,আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ আলী খানসহ ২ শতাধিক ব্যক্তি স্বাক্ষরিত ওই অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে পরিক্ষার আগের রাতে পছন্দের প্রার্থীদের কাছে প্রশ্ন পত্র দেয়া হয়েছে। ফলে প্রকৃত মেধাবী প্রার্থীরা এ নিয়োগ পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এছাড়া উৎকোচের টাকার একটি অংশ সকল সদস্যকে ভাগ করে দেয়া হয়েছে।

একজন সদস্য তার ভাগের টাকা নিয়োগপ্রাপ্ত এক প্রার্থীর বাবার কাছে ৩০ হাজার টাকা ফিরিয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মাদ্রাসাটির বর্তমান সভাপতি শেখ নাজিবুর রহমান। তিনি বলেছেন নিয়মতান্ত্রিক ভাবেই নিয়োগ দেয়া হয়েছে। প্রিন্সিপ্যাল মাওঃ বদিউজ্জামান বলেন, প্রশ্ন ডিজি প্রতিনিধির উপ¯ি’তিতে করা হয়েছে। রাতে প্রশ্ন দেয়ার কথা সঠিক না। তবে একটি দায়িত্বশীণ সূত্রে জানা গেছে প্রিন্সিপ্যালের সাথে চুক্তির মাধ্যমে ডিজির প্রতিনিধিকে আনা হয়েছে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ ফিরোজ আহম্মেদ বলেছেন, একটি অভিযোগ পেয়েছি। অতি দ্রুত এ ব্যাপারে তদন্ত পূর্বক ব্যব¯’া নেয়া হবে। উল্লেখ গণস্বাক্ষরিত এ অভিযোগ শিক্ষা মন্ত্রী, শিক্ষা সচিব, মাদ্রাসা বোর্ডের চেয়ারম্যান, দূর্নীতি দমন কমিশন, জেলা প্রশাসক, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগকারীরা জানিয়েছেন।