মানিকগঞ্জে কমছে বন্যার পানি ৩৪ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত

প্রকাশিত: ২:২৪ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১১, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক : মানিকগঞ্জে ১৪ দিন ধরে কমতে শুরু করেছে বন্যার পানি। এর ফলে দৃশ্যমান হচ্ছে বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ। মানিকগঞ্জে ৩৪ কিলোমিটার পাকা সড়কের বিভিন্ন স্থানে বানের পানির তীব্র স্রোতে ভেঙ্গে গেছে। সেই সঙ্গে অভ্যন্তরীণ আধাপাকা সড়কেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

মানিকগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগ জানিয়েছে, মানিকগঞ্জে পানি কমতে শুরু করলেও এখনও পুরোপুরি নামেনি। যেসব স্থানে পানি নেমে গেছে সেখানকার ক্ষয়ক্ষতি দৃশ্যমান হচ্ছে। চলতি বছরের দুই দফা বন্যা ও অতিবৃষ্টিতে জেলার ৭টি উপজেলার সঙ্গে জেলা শহরের প্রধান সড়কের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে হরিরামপুর উপজেলার সঙ্গে মানিকগঞ্জ সদরের এখনও সরাসরি সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ রয়েছে। তাছাড়া জেলার ৭টি উপজেলার সঙ্গে নিজ নিজ ইউনিয়নের অনেক সড়ক যোগাযোগ ব্যাবস্থা বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগের স্বীকার হতে হচ্ছে লক্ষ লক্ষ মানুষের।

এবারের ভয়াবহ বন্যায় মানিকগঞ্জ জেলা শহরের সঙ্গে ঘিওর, দৌলতপুর উপজেলার একাধিক ইউনিয়নের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু হয়নি। ফলে এসব অঞ্চলের মানুষকে সীমাহীন ‍দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

সাটুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন পিন্টু বলেন, ‘আমার মালশি, গওলা, কৈজরি, পাড়া গ্রামের পাকা, আধা পাকা সড়ক পানিতে ডুবে গিয়েছিল। বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত তৈরি হওয়াতে যানবাহন তো দুরের কথা পায়ে হাঁটাই দুস্কর হয়ে পড়েছে।’

সাটুরিয়া উপজেলার বালিয়াটী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রুহুল আমিন বলেন, ‘বালিয়াটী থেকে জেলা শহরে যাতায়াতের একাধিক সড়ক থাকলেও বর্তমানে মাত্র একটি সড়ক ব্যবহার করতে পারছি। বাকি সড়কের একাধিক স্থান বানের পানির তীব্র স্রোতে ভেঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।’

দৌলতপুর উপজেলার বাঁচামারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ বলেন, ‘আমার ইউনিয়নের সকল পাকা ও আধা পাকা সড়কই পানিতে তলিয়ে গেছে। পানি নামতে শুরু করায় ক্ষয়ক্ষতি দৃশ্যমান হচ্ছে।’

হরিরামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুর রহমান বলেন, ‘আমার প্রতিটি ইউনিয়নের সকল অভ্যন্তরীণ সড়কের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। পানি কমতে শুরু করলেও এখনও অধিকাংশ মানুষের একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম হচ্ছে নৌকা।’

মানিকগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী মো. গাউস উল হাসান মারুফ বলেন, ‘মানিকগঞ্জে এখনও অনেক সড়ক পানির নিচে তলিয়ে আছে। ১০ অগাষ্ট পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী- আমাদের ৩৪ কিলোমিটার পাকা সড়কের বিভিন্ন স্থান ভেঙ্গে গেছে। সম্পূর্ণ বন্যামুক্ত হলে সঠিক ক্ষয়ক্ষতির হিসাব করে সংস্কারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হবে।