কুয়াকাটায় সাবমেরিন ক্যাবল কাটায় পৌর মেয়রের ভাইসহ গ্রেফতার ২

প্রকাশিত: ৯:২৯ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১০, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক : পটুয়াখালীর কুয়াকাটা উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়নের আলীপুর বাজার সংলগ্ন কোল্ড স্টোরেজ এলাকায় আবুল হোসেন মোল্লার নেতৃত্বে কয়েকজন ব্যবসায়ীর ব্যক্তি উদ্যোগে একটি জমির উন্নয়ন কাজ করছিলেন।

এসময় বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত না করে খননযন্ত্র দিয়ে কাজ করার সময় ল্যান্ডিং স্টেশনের পাওয়ার ক্যাবল কেটে আগুন ধরে যায়। এরপর তারা কাজ ফেলে রেখে চলে গেলেও ততক্ষণে কুয়াকাটা ল্যান্ডিং স্টেশন থেকে সারা দেশের ইন্টারনেট সেবা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
এব্যাপারে রোববার (৯ আগস্ট) দিবাগত রাত ৩টায় কুয়াকাটা সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশনের সিকিউরিটি অফিসার মো. হারুন অর রশিদ বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় পাঁচজনের নাম উল্লেখ্য সহ আটজনকে আসামি করা হয়েছে।

তাদের মধ্যে ব্যবসায়ী ও প্রাইমারি স্কুল শিক্ষক আবুল হোসেন ওরফে হোসেন মোল্লা ও তার ব্যবসায়ীক পার্টনার আবুল হোসেনকে সোমবার সকালে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মহিপুর থানার ওসি মনিরুজ্জমান। তিনি আরো জানান, সাবমেরিনের ক্যাবল কাটার ঘটনায় সোমবার রাত তিনটার দিকে একটি মামলা হয়েছে। আমরা সোমবার সকালে দুজনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়েছি।

মামলার বাদী কুয়াকাটা সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশনের সিকিউরিটি অফিসার হারুন অর রশিদ জানান, তাদের কোন প্রকার অবহিত না করে বেড়িবাঁধ লাগোয়া মাটির তলায় খননযন্ত্র ব্যবহার করে কাজটি করতে গিয়ে এমন সংকট তৈরী হয়েছে। সংযোগ কাটা পড়ে প্রায় ১৩ ঘন্টা পর্যন্ত কুয়াকাটা সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশন থেকে ইন্টারনেট সার্ভিস বন্ধ থাকায় কি পরিমান আর্থিক ক্ষতি হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে কুয়াকাটা সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশনের ইনচার্জ ডিজিএম মোঃ তারিকুল ইসলাম বলেন, সংযোগ পুনঃস্থাপনে প্রায় আট লাখ টাকা খরচ হবে।

ওই ঘটনার প্রায় ১৩ ঘন্টা পর রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সাময়ীকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত সংযোগ স্থাপনের মধ্যদিয়ে সারা দেশের ইন্টারনেট সেবা সচলের ব্যবস্থা নেওয়া হয় বলে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মশিউর রহমান জানিয়েছেন। তবে সংযোগ আপাতত পুনরুদ্ধার হলেও পুরোপুরি সচল করতে আরও বেশ কয়েকদিন সময় লাগবে বলে ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন। এ দীর্ঘ ১৩ ঘন্টায় পার সেকেন্ডে ৭’শ ৬০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ ব্যবহার বন্ধ থাকার ফলে বিএসসিসিএল এর কত টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে এটি এখনও নিরূপণ করা যায়নি।