করোনায় সুস্থতার সংখ্যা ছাড়ালো দেড় লাখ

প্রকাশিত: ৯:২৫ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১০, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৪৩৮ জনের।
সোমবার দুপুর আড়াইটায় করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

তিনি বলেন, ‘নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন দুই হাজার ৯০৭ জন। এতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এখন দুই লাখ ৬০ হাজার ৫০৭। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন দুই হাজার ৬৭ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন এক লাখ ৫০ হাজার ৪৩৭ জন।’

ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১২ হাজার ৮৫৫টি এবং পরীক্ষা হয়েছে ১২ হাজার ৮৪৯টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১২ লাখ ৭৩ হাজার ১৬৮টি। ২৪ ঘণ্টায় যা নমুনা সংগ্রহ হয়েছে, তাতে করোনা শনাক্ত হয়েছে দুই হাজার ৯০৭ জনের মধ্যে।’

তিনি বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে পুরুষ ৩৫ জন এবং নারী ৪ জন। মোট মৃতদের মধ্যে পুরুষ দুই হাজার ৭২১ জন (৭৯ দশমিক ১৪ শতাংশ) এবং নারী ৭১৭ জন (২০ দশমিক ৮৬ শতাংশ)। গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ১০ বছরের কম বয়সী একজন, ২০ বছরের বেশি বয়সী একজন, ত্রিশোর্ধ্ব একজন, চল্লিশোর্ধ্ব ৩ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১০ জন, ষাটোর্ধ্ব ১৩ জন, সত্তরোর্ধ্ব ৬ জন ও ৮০ বছরের বেশি বয়সী ৪ জন ছিলেন।’

ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, ‘মৃতদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ছিলেন ১২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৭ জন, খুলনা বিভাগের ৬ জন, রাজশাহী বিভাগের ৮ জন, ময়মনসিংহ বিভাগের ৩ জন, রংপুর বিভাগের একজন ও বরিশাল বিভাগের দু’জন ছিলেন।’

বুলেটিনে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ২২ দশমিক ৬২ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৪৬ শতাংশ। আর রোগী শনাক্ত তুলনায় সুস্থতার হার ৫৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩২ শতাংশ।

গত ০৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়। আর ১৮ মার্চ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর খবর জানায় আইইডিসিআর।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে গত ২৬ মার্চ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির মধ্যে জরুরি সেবা ছাড়া সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়।

৩১ জুন থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে অফিস চালু করা হয়। একই ভাবে শুরু হয় গণপরিবহন চলাচল। কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখনো বন্ধ রয়েছে।