হালুয়াঘাটে ভাগিনার চুরি যাওয়া গরু উদ্বার করতে গিয়ে মামাসহ আহত-৩

প্রকাশিত: ৭:৪৫ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৯, ২০২০
হালুয়াঘাটে ভাগিনার চুরি যাওয়া গরু উদ্বার করতে গিয়ে মামাসহ আহত-৩

জোটন চন্দ্র ঘোষ, হালুয়াঘাট : ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে ভাগিনার চুরি যাওয়া ১২টি গরু উদ্বার করতে গিয়ে চোরদের অর্তকিত হামলায় মামাসহ তিন জন আহত হয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার (৬আগষ্ট) বিকালে উপজেলার উত্তর ইটাখোলা বোয়ালজানা গ্রামে হামলার ঘটনাটি ঘটে।

এ ঘটনায় উত্তর ইটাখোলা বোয়ালজানা গ্রামের হাজী আশরাফ আলী মন্ডলের পুত্র সাদেকুর রহমান সুমন বাদী হয়ে একই গ্রামের হামলাকারী জালাল এর পুত্র মোজাম্মেল (৩৫),যুবরাজ এর পুত্র আজাহারুল মুন্সি (৩৫),মৃত গেন্দু মিয়া এর পুত্র মজিবর (২৮),মৃত আব্দুল কুদ্দুছ সরকারের পুত্র আজিম উদ্দিন (৫২),নবী হোসেনের পুত্র কামাল (৩২),জামাল (৩০), মৃত আতশ আলীর পুত্র দেলোয়ার (৩৫), মৃত সাহেব আলীর ফকিরের পুত্র আজিজুল (৩৫), মুহাম্মদ আলী ফকিরের পুত্র সেকান্দর ফকির (২৫), ফজলুল ফকির (৪৫), রাজা কাছুম এর পুত্র শহিদুল (৩৫), ছোট আবুর পুত্র মাসুদ (৩৫), গুঞ্জর আলীর পুত্র আমছর আলী (৫০),কালাম (৪৫) একই এলাকার নূরুল আমিনসহ আরও ৪/৫জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের নামে হালুয়াঘাট থানায় মামলা দায়ের করেন। যাহার নং-৫।

মামলার বিবরণে প্রকাশ, হালুয়াঘাট বাজারের মাংস ব্যবসায়ী মনিকুড়া গ্রামের মৃত জসিম উদ্দিনের পুত্র জান্নাতুল এর সাথে মামলার বাদী সাদেকুর রহমান সুমন এর বড় ভাই আতিকুর রহমানের সাথে বন্দুত্বে সম্পকর্কের জের ধরে প্রায় ৫/৬ মাস পূর্বে উত্তর ইটাখোলা বোয়ালজানা গ্রামের স্থানীয় কৃষকদের নিকট থেকে বাকীতে গরু ক্রয় করেন জান্নাতুল। পরবর্তীতে বকেয়া টাকা পরিশোধ না করার কারণে আতিকুর রহমানের সাথে কৃষকদের বিরোধের সৃষ্টি হয়। পুর্ব বিরোধের জের ধরে গত বৃহস্পতিবার অপরাহ্নে উল্লেখিত বিবাদীরা বে-আইনী জনতাবদ্ধ হয়ে বাদীর নিজ গোয়াল ঘর থেকে প্রায় দশ লক্ষ টাকা মূল্যের ১২টি গরু চুরি করে নিয়ে যায়। ঘটনারদিন সন্ধায় চুরি যাওয়া দুইটি গরু উদ্বারের জন্য একই এলাকার মোজাম্মেল এর বাড়িতে যান সাদেকুর রহমান সুমনসহ তার দুই মামা শামছুর রহমান (৩৮),হযরত আলী (২৯) ও খালাত ভাই ফরিদ (২৪)। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে মোজাম্মেল খুন করার উদ্দেশ্যে দা দিয়ে কুপিয়ে শামছুর রহমানকে গুরুতর রক্তাক্ত কাটা জখম করেন। এ সময় মারামারিতে হযরত আলী ও ফরিদ আহত হয়। পরে স্থানীয়দের সহযোগতিায় আহতদের উদ্বার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন। উল্লেখিত ব্যক্তিরা এ ঘটনার বিষয়ে গ্রামে বিচার কিংবা থানায় মামলা করলে পুনরায় মারপিট করাসহ খুন জখমের হুমকি প্রর্দশন করেন বলে মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়।

এ বিষয়ে মামলার বাদী সাদেকুর রহমান সুমন বলেন ঘটনার তিনদিন অতিবাহিত হলেও চুরি যাওয়া ১২টি গরুর মধ্যে একটি গরুও উদ্বার করতে পারেনি থানা পুলিশ এমনকি একজন আসামীকেও গ্রেফতার করতে পারেনি। তিনি এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী করেন। এ বিষয়ে মোজাম্মেল গংদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বলেন, চুরি যাওয়া গরুগুলি উদ্বার করতে ও হামলাকারীদের গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।