করোনায় সোয়া ১২ লাখ নমুনা পরীক্ষা

প্রকাশিত: ৪:৩৭ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৬, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক : গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৩ হাজার ৩০৬ জনে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

তিনি বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে আরও ২ হাজার ৯৭৭ জনের মধ্যে। এ নিয়ে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ২ লাখ ৪৯ হাজার ৬৫১ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ২ হাজার ৭৪ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১ লাখ ৪৩ হাজার ৮২৪ জনে।’

ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, ‘করোনা শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ হাজার ১৮৯টি নমুনা সংগ্রহ এবং ১২ হাজার ৭০৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। একই সময়ে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও ২ হাজার ৯৭৭ জন। ফলে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ২ লাখ ৪৯ হাজার ৬৯১ জনে। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ লাখ ২৫ হাজার ১২৫ জনে।’

তিনি বলেন, ‘মৃতদের মধ্যে পুরুষ ৩২ জন ও নারী ৭ জন। এদের মধ্যে ঢাকায় ১৭ জন, চট্টগ্রামে ৭ জন, রাজশাহীতে ৩ জন, বরিশালে দু’জন, খুলনায় ৪ জন, রংপুরে ৩ জন, সিলেটে দু’জন ও ময়মনসিংহে একজন রয়েছেন। হাসপাতালে মারা গেছেন ৩০ জন, বাসায় মারা গেছেন ৯ জন।’

মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে সাতজন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১৩ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে নয়জন, অন্যান্য বয়সের ১০ জন রয়েছেন।

বুলেটিনে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৩৮ শতাংশ। আর রোগী শনাক্তের তুলনায় সুস্থতার হার ৫৭ দশমিক ৬১ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩২ শতাংশ।

ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৯৫৫ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৭৩৬ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন ৫৪ হাজার ৩৬০ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৩৫ হাজার ৬৮৬ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৮ হাজার ৬৭৪ জন।’

বরাবরের মতো তিনি করোনা ভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে সবাইকে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, মুখে মাস্ক পরা এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান বুলেটিনে।

গত ০৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়। আর ১৮ মার্চ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর খবর জানায় আইইডিসিআর।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে গত ২৬ মার্চ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির মধ্যে জরুরি সেবা ছাড়া সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়।

৩১ জুন থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে অফিস চালু করা হয়। একই ভাবে শুরু হয় গণপরিবহন চলাচল। কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখনো বন্ধ রয়েছে।