ভোলার ১৪ গ্রামে ঈদ উদযাপিত

প্রকাশিত: ১১:৩৮ অপরাহ্ণ, জুলাই ৩১, ২০২০
ভোলার ১৪ গ্রামে ঈদ উদযাপিত

অনলাইন ডেস্ক : ভোলার পাঁচ উপজেলার ১৪টি গ্রামের প্রায় ৩ হাজার মানুষ আজ শুক্রবার ঈদ-উল-আযহা উদযাপন করছেন।শরিয়তপুর জেলার নুরিয়া উপজেলার দরবারে আউলিয়ার সুরেশ্বর দরবার পীরের মুরিদ ও ভোলা জেলার দায়িত্বে নিয়োজিত খলিফা গোলাম মাওলা মজনু নূরী জানান, ভোলা জেলার পাঁচ উপজেলার ১৪টি গ্রামের প্রায় ৩ হাজার পরিবার আজ ঈদ-উল-আযহা উদযাপন করছেন। সে অনুযায়ী সকাল ৮টায় বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী গ্রামে তার বাড়ির আঙ্গিনায় ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। তিনি নিজেই ওই জামাতে ইমামতি করেন।

তিনি জানান, ‘ওই গ্রামের চৌকিদার বাড়ির জামে মসজিদে এবং পঞ্জায়েত বাড়ির জামে মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। পাশাপাশি সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ১০টার মধ্যে জেলার বিভিন্ন জায়গায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া তজুমদ্দিন উপজেলার ছেলামত মেম্বার বাড়ি, আব্দুল্লাহ মুন্সি বাড়ি, লালমোহন উপজেলার লাঙ্গলখালী পাটোয়ারী বাড়িতেও ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।’

গোলাম মাওলা মজনু নূরী জানান, ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা ও রতনপুর গ্রাম, বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী ও মুলাইপত্তন গ্রাম, তজুমদ্দিন উপজেলার শিবপুর, খাসেরহাট, চাঁদপুর ও চাঁচড়া গ্রাম, লালমোহন উপজেলার পৌর শহর, ফরাজগঞ্জ গ্রাম এবং চরফ্যাশন উপজেলার পৌর শহর, দুলারহাট, ঢালচর ও চর পাতিলা গ্রামের প্রায় ৩ হাজার মানুষ প্রতি বছর দেশের নিয়মের একদিন আগে ঈদ-উল-ফিতর ও ঈদ-উল-আযহা পালন করে থাকেন।

তিনি জানান, সুরেশ্বর পীরের মুরিদ ছাড়াও চট্টগ্রামের সাতকানিয়া এবং ভান্ডারি শরিফ পীরের মুরিদ এসব পরিবারের সদস্যরা শতাধিক বছর ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে একদিন আগে রোজা, ঈদ-উল-ফিতর ও ঈদ-উল-আযহা পালন করে আসছেন।

ভোলার পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার জানান, ভোলাসহ দেশের আরও অনেক স্থানেই কিছু মানুষ তাদের ধর্মীয় মতাদর্শে একদিন আগে ঈদ পালন করে থাকেন। ভোলায় যারা ঈদ পালন করছেন তারা যেন নির্ভয়ে ও নির্বিঘ্নে ঈদ পালন করতে পারে সে জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে বিশেষ নিরাপত্তা দেয়া হয়েছে।