মির্জাগঞ্জে শিক্ষক কর্মচারীর প্রনোদনা তালিকায় অনিয়মের অভিযোগ

প্রকাশিত: ১১:২৫ অপরাহ্ণ, জুলাই ২২, ২০২০

মির্জাগঞ্জ(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি : করোনায় আর্থিক সঙ্কটে পড়া বেসরকারী নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের আর্থিক প্রণোদনা দেয়ার তালিকায় প্রদানে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এমনই অভিযোগ উঠেছে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের দেউলী উদয়ন ভাষা শহিদ আব্দুল জব্বার মেমোরিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ সামিয়া শিমুর বিরুদ্বে।

জানা যায়,চলমান করোনা( কোভিট-১৯) কে কেন্দ্র করে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষনা করা হয়। কর্মহীন শিক্ষককে সরকার বিভিন্ন ভাবে সাহায্য সহ-যোগিতা করে আসছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নন-এম পি ও ভুক্ত মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মরত শিক্ষকদের( ৫০০০) এবং কর্মচারীদের( ২,৫০০) টাকা করে দেয়ার জন্য ঘোষনা দেন। প্রনোদোনা পাওয়ার জন্য নন-এমপি ও ভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মরত শিক্ষক কর্মচারীদের তালিকা দিতে বলা হয়। উপজেলার উদয়ন ভাষা শহিদ আব্দুল জব্বার মেমোরিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ সামিয়া শিমু তার কলেজের মোট ১৩ জন শিক্ষক কর্মচারীদের তালিকা দিয়েছেন। যার অধিকাংশ কলেজের নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক নয়।

নিয়মিত কলেজে প্রভাষক হিসাবে মোঃ আবু নাইম (০১৭৮৩৪৪৯৯০৩) সাকির (০১৯১৭৬৮৪০১৩) এবং মাহমুদুল হাসান রুবেল (০১৯১৮৮৫৬৪৫৬) এই তিনজন কর্মরত থাকলে ও তাদের নামের পরিবর্তে অন্যলোকের নাম দিয়ে কর্মরত তিনজনের মোবাইল নাম্বার দেয়া হয়েছে। কলেজের মাহমুদুল হাসান রুবেল অফিস সহকারী (কাম কম্পিউটার) হিসেবে কাজ করলে ও এখনো নিয়োগ পাননি তিনি এবং তার নাম্বার ও দেয়া হয়েছে লেকচারারের স্থানে। বর্তমান কর্মরতদের মধ্যে আরো অনেকের নাম ও দেয়া হয়নি তালিকায়। এ ব্যাপারে লেকচারার মোঃ সাকির আলম বলেন, আমাদের নামের যায়গায় অন্য লোকের নাম দিয়ে আমাদের নাম্বার দিয়েছেন।

অধ্যাক্ষ এমন কেন করেছেন আমরা জানিনা। শিক্ষক আবু নাইম বলেছেন,আমরা প্রায় ছয় বছর ধরে কর্মরত আছি আমাদের নাম না দিয়ে সে তার মনমত অণ্য নাম দিয়েছেন। মোবাইল নাম্বার কেন দিয়েছেন অধ্যাক্ষই বলতে পারবেন। যাদের নাম দেয়া হয়েছে তারা এখানে অনেকেই নেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিনি বলেন, অধ্যক্ষর নিয়োগ আমাদের নিয়োগ একই ভাবে হয়েছে সে টাকা পেল আমরা পেলাম না।

কলেজের অধ্যক্ষ সামিয়া শিমু এ ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, এ ধরনের কোন অনিয়ম হয়নি। একটি মহল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে এবং কলেজর বিরুদ্ধে একটি অপপ্রচার।

উপজেলা মাধ্যমিক অফিসার কাজী সাইফুদ্দীন ওয়ালীদ বলেন, যে সকল নিয়োগ প্রাপ্ত শিক্ষকরা প্রনোদনা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন তারা লিখিতভাবে অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।