সন্তানদের জন্য একটু মাথা গোঁজার ঠাঁই চান অভাগী হাসিনা

প্রকাশিত: ৯:০৯ অপরাহ্ণ, জুলাই ২২, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক : বরগুনার তালতলী উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের পাঁজরা ভাঙা গ্রামে ৪ সন্তান নিয়ে নারিকেল পাতা ও পলিথিন দিয়ে মাথা গোঁজার চেষ্টা, আর বেঁচে থাকার জন্য খেয়ে না খেয়ে জীবনযুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন অভাগী হাসিনা বেগম।

কিশোরী বয়সে সংসারে অভাবের কারণে অল্প বয়সে বিয়ে হয় হাসিনা বেগমের। ৭ বছর আগে রিকশাচালক স্বামী মোকছেদ মোল্লা ঋণগ্রস্ত হয়ে নিরুদ্দেশ হন। আর কোন খোঁজখবর পাননি। হাসিনা বেগমকে এখন এক কথায় বলা যায় স্বামী পরিত্যক্তা।

মঙ্গলবার সকালে গিয়ে দেখা যায়, ৮ বছর আগে স্বামীর রেখে যাওয়া জরাজীর্ণ ঘড়ের ধংসাবশেষ পড়ে রয়েছে। সেই ঘড়ে নারিকেল পাতা ও পলিথিন দিয়ে কোন রকমে মাথা গোঁজার চেষ্টা করছেন হাসিনা বেগম। ঘড় না থাকায় ছোট ছেলে-মেয়েদের নিয়ে কখনো পাশের বাড়ি, ননদের বাড়ির বারান্দায়, কখনো কুয়াকাটা শুটকি পল্লীতে থাকেন। অন্যের বাড়ি ও শুটকি পল্লীতে কাজ করে কোন রকম খেয়ে না খেয়ে দিন কাটে অভাগী হাসিনা বেগমের। পুষ্টিকর খাদ্যের অভাবে সন্তানগুলো কংকাল সার ও খর্বকায়। অর্থাভাবে যেতে পারছে না স্কুলে।

অনেকটা ক্ষোভ নিয়ে হাসিনা বেগম বলেন, ‘গরীব হয়ে জন্ম নেওয়া মানুষের জন্য এক হিসেবে অন্যায়, সন্তানদের লেখাপড়া শেখানো যায়না। দিতে পারিনা দু’মুঠো ভাত। অসুস্থ হলে পরে থাকতে হয় বিনা চিকিৎসা বিছানায়। রাত হলে ঠাঁই অন্যের বাড়ির বারান্দায়। এটা কি জীবন?’

তিনি বলেন, ‘স্বামী নিখোঁজ মানুষের কাছে শুনেছি। আমার স্বামী হিলট্টাকসের (পার্বত্য চট্টগ্রাম) কোন এক গ্রামে দ্বিতীয় বিয়ে করে সংসার পেতেছেন। আমিতো মা। সন্তানদের কোন ভাবে আমি ফেলতে পারিনা। ঝড়-বৃষ্টি যাই হোক আমি আমার সন্তানদের বুকে নিয়ে বাঁচতে চাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটু মাথা গোঁজার ঠাঁই চাই। সন্তানদের গৃহহীনের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতে চাই।