বাম গণতান্ত্রিক জোটের মিছিলে পুলিশের লাঠিপেটা, সংঘর্ষ

প্রকাশিত: ৫:১১ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৯

নিউজ ডেস্কঃ রাজধানীর মৎস্য ভবন এলাকায় বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুর পৌনে ১টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।এ ঘটনায় মৎস্যভবন এলাকা থেকে ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে হাইকোর্ট-মৎস্যভবন এলাকার যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।ঘটনাস্থলে পুলিশের লাঠিচার্জের শিকার হয়েছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি। দফায় দফায় উভয়পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন।সংঘর্ষে পুলিশের দুই সদস্য আহত হয়েছেন বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার সাজ্জাদুর রহমান। তাদেরকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।জাতীয় প্রেসক্লাবে সমাবেশ শেষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে কালো পতাকা মিছিল শুরু করে বাম গণতান্ত্রিক জোট। মিছিলটি হাইকোর্ট মোড়ে গেলে পুলিশি বাধার সম্মুখীন হয়। পরে ব্যারিকেড ভেঙে মিছিলটি মৎস্য ভবন এলাকায় পৌঁছালে আবারও বাধা দেয় পুলিশ।

ফের ব্যারিকেড ভেঙে নেতাকর্মীরা যেতে চাইলে শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। পুলিশ লাঠিপেটা শুরু করলে বাম জোটের কর্মীরাও চড়াও হয়। এ ঘটনায় প্রায় ২৫ জন নেতা-কর্মী আহত হন। এদেরকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।এ বিষয়ে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় সংসদ সভাপতি মেহেদী হাসান নোবেল আমার সংবাদকে বলেছেন, পুলিশ বিনা উস্কানিতে আমাদের কর্মসূচির উপর অতর্কিত গুলি চালিয়েছে। জুনায়েদ সাকিসহ আমাদের ১০-১২ জন গুরুতর আহত হয়েছে। গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।মেহেদী আরো বলেন, আমাদের তিন নেতাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এর প্রতিবাদ জানাবো। আমরা এখন ঢাকা মেদিকেলে আছি, আমাদের গুরুতর আহতদের চিকিৎসা দেযার জন্য নিয়ে এসেছি।

ডিএমপি রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বাম জোটের নেতা-কর্মীদের থামাতে মৎস্য ভবন এলাকায় পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে রাখে। ব্যারিকেড ভেঙে নেতাকর্মীরা সামনে এগোতে চাইলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এসময় বাম জোটের নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়।এ ঘটনায় পুলিশের দুই সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

মাগুরায় বাঘ নিয়ে বিপাকে পুলিশ