চাঁপাইনবাবগঞ্জ সোনামসজিদ স্থলবন্দরে অর্থবছরে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি

প্রকাশিত: ৪:৩২ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৬, ২০২০

ফয়সাল আজম অপু, বিশেষ প্রতিনিধি ঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দরে ২০১৯-২০ অর্থ বছরে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থ বছরে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৪শ ৫০ কোটি ৫৮ লাখ ৫১ হাজার টাকা। কিন্তু রাজস্ব আয় হয়েছে ২শ ১৮ কোটি ৯৩ লাখ ৯ হাজার টাকা। লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে ২শ ৩১ কোটি ৬৫ লাখ ৪২ হাজার টাকা রাজস্ব আয় কম হয়েছে।

রাজস্ব আয় কম হওয়ার কারণে জানতে চাইলে সোনামসজিদ কাস্টমস, আমদানি রপ্তানীকারক গ্রুপ সিএন্ডএফ এজেন্ট, শ্রমিক সমন্বয় ও পানামার নেতারা একবাক্যে জানান, বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সমন্বয়ের অভাবে ভারত থেকে পণ্য আমদানি কমে গেছে। যে কারণে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। তাছাড়া করোনা ভাইরাসের কারনে গত এপ্রিল ও মে মাসে স্থলবন্দরে আমদানী রপ্তানী বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারনে কোনো রাজস্ব আয় হয়নি। সোনামসজিদ স্থলবন্দরে অর্থ বছরে প্রথম থেকেই আমদানী রপ্তানী কম হওয়ার কারনে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য মাত্রা অর্জিত হয়নি।

তাছাড়া গত ২৮ অক্টোবর থেকে পেঁয়াজ আমদানি সম্পূর্ণ বন্ধ থাকায় রাজস্ব আয়ে কমে যাই বলে কাস্টমস দপ্তর সূত্রে জানা গেছে। এছাড়াও সোনামসজিদ স্থলবন্দরে সোনামসজিদে আমদানীকৃত পণ্যে শতভাগ রাজস্ব আদায় করার কারণে কিছু কিছু ফল আমদানী কারক অন্যবন্দর দিয়ে সুযোগ সুবিধা পাওয়ায় ঐসব বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানী করে। সকল স্থলবন্দরগুলিতে সরকারের একই নিয়মে রাজস্ব আদায় করা হলে সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে সব চেয়ে পণ্য আমদানী হবে এবং রাজস্ব আয়ও লক্ষ্য মাত্রা চেয়ে অনেক গুণ বেশি হবে বলে সোনামসজিদ স্থলবন্দর আমদানী রপ্তানী গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক তোফিকুল ইসলাম বাবু জানান।

তিনি আরও জানান কোন কোন বন্দরে সুযোগ সুবিধা বেশি পাওয়ার কারণে ব্যবসায়ীরা ঐ সব বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানী করেছে। এছাড়াও সোনামসজিদ স্থলবন্দরে পাথর আমদানীর ক্ষেত্রেও মাঝে মধ্যেই জটিলতার কারনে আমদানী বন্ধ থাকে। এর কারনেও রাজস্ব আয় অর্জিত হয়নি।