করোনায় ষাটোর্ধ্বদের বেশি মৃত্যু

প্রকাশিত: ৬:৩১ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৩, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক ; গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো দুই হাজার ৩৯১ জনে।
সোমবার দুপুরে করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

তিনি বলেন, ‘একই সময়ে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও ৩ হাজার ৯৯ জন। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল এক লাখ ৮৬ হাজার ৮৯৪ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ৪ হাজার ৭০৩ জন। ফলে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৯৮ হাজার ৩১৭ জনে।’

ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, ‘৭৭টি ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। করোনা ভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ হাজার ৩৫৮টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ১২ হাজার ৪২৩টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট ৯ লাখ ৫২ হাজার ৬৪৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হলো। নতুন নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও ৩ হাজার ৯৯ জনের মধ্যে। ফলে শনাক্ত করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল এক লাখ ৮৬ হাজার ৮৯৪ জনে।’

তিনি বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় যে ৩৯ জন মারা গেছেন তাদের ৩০ জন পুরুষ ও ৯ জন নারী। তাদের মধ্যে শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে একজন, ১০ বছরের বেশি বয়সী একজন, ত্রিশোর্ধ্ব ৩ জন, চল্লিশোর্ধ্ব ৬ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১৩ জন, ষাটোর্ধ্ব ১১ জন, সত্তরোর্ধ্ব ৩ জন এবং ৮০ বছরের বেশি বয়সী একজন ছিলেন।

ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, ‘মৃতের মধ্যে ১৯ জন ঢাকা বিভাগের, ৫ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, একজন ময়মনসিংহ বিভাগের, ৭ জন খুলনা বিভাগের, ৩ জন বরিশাল বিভাগের এবং দু’জন করে রংপুর ও সিলেট বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।’

তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২৪ দশমিক ৯৫ শতাংশ। এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৬১ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫২ দশমিক ৬১ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ২৮ শতাংশ। মৃতদের মধ্যে পুরুষ এক হাজার ৮৯০ জন ও নারী ৫০১ জন। পুরুষ ৭৯ দশমিক ০৫ শতাংশ ও নারী ২০ দশমিক ৯৫ শতাংশ নারী।’

ডা. নাসিমা বরাবরের মতো করোনা ভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে সবাইকে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, মুখে মাস্ক পরা এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান বুলেটিনে।

গত ০৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়। আর ১৮ মার্চ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর খবর জানায় আইইডিসিআর।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে গত ২৬ মার্চ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির মধ্যে জরুরি সেবা ছাড়া সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়।

৩১ জুন থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে অফিস চালু করা হয়। একই ভাবে শুরু হয় গণপরিবহন চলাচল। কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখনো বন্ধ রয়েছে।