সিরাজগঞ্জে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় ৩১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত: ১১:১৭ অপরাহ্ণ, জুলাই ৮, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক : সিরাজগঞ্জে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় ৩১৯ জনের বিরুদ্ধে থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যে উভয় গ্রুপের ১২ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে।

বুধবার দুপুরে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আহসান হাবিব খোকা বাদী হয়ে ৪৯ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৫০ জনের বির“দ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করেন। একই সময় ওই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ বিন আহম্মেদ বাদী হয়ে ৭০ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত প্রায় ১৫০ জনের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করেন। সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বুধবার সন্ধায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মঙ্গলবার বিকেলে নিহত ছাত্রলীগ নেতা বিজয়ের স্মরণে জেলা আওয়ালীগ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মিলাদ ও দোয়া মাহফিলকে কেন্দ্র করে বাক-বিতন্ডার একপর্যায়ে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, বাঁধে এসময় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ব্যাপক ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনায় পুলিশসহ উভয় পক্ষের অন্তত অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ১৯ জনকে হাসপাতাল ও বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রায় আড়াই ঘন্টাব্যাপী এ সংঘর্ষ চলাকালে শহরের বিভিন্ন এলাকায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সংঘর্ষ চলাকালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ ও কমপক্ষে ১৫ রাউন্ড টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে সংঘর্ষ চলাকালে গুরুতর আহত যুবলীগ নেতা একরামুল হককে প্রথমে শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে এবং তার অবস্থার অবনতি হলে মঙ্গলবার রাতেই ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি নিউরো বিশেষজ্ঞ রেজোয়ান সাত্তারের তত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। চিকিৎসক তাকে ৭২ ঘন্টার নিবিড় পর্যবেক্ষনে রেখেছেন । হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে তিনি মাথায় আঘাত প্রাপ্ত হওয়ায় এখনই তার শারীরিক সুস্থতা সম্পর্কে কিছু বলা যাচ্ছে না।

গত ২৬ জুন বিকেলে প্রয়াত মোহাম্মদ নাসিমের স্মরণে ছাত্রলীগ আয়োজিত দোয়া মাহফিলে যোগ দিতে যাওয়ার পথে সিরাজগঞ্জ শহরের বাজার স্টেশন এলাকায় এনামুল হককে কুপিয়ে জখম করে প্রতিপক্ষ। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত রোববার সকালে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় তার বড় ভাই বাদী হয়ে ২৭ জুন জেলা ছাত্রলীগের ২ সাংগঠনিক সম্পাদকসহ সংগঠনের ৫ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে সদর থানায় মামলা করেন। গত ২৮ জুন অভিযুক্ত জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আল-আমিন ও শিহাব আহমেদ জিহাদকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। নিহত এনামুল হক বিজয় জেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক ও কামারখন্দ সরকারি হাজী কোরপ আলী ডিগ্রি কলেজ শাখার সভাপতি ছিলেন।

মঙ্গলবার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(অপরাধ) ফোরকান শিকদার জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সম্ভাব্য সহিংসতা এড়াতে শহরের গুরত্বপূর্ণ স্থানগুলোয় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন সহ টহল জোরদার করা হয়েছে।