বাউফলে খালের বাঁধ অপসরণ না করায় জনদুর্ভোগ চরমে জনস্বাস্থ্য হুমকীর মুখে

প্রকাশিত: ৮:৪৭ অপরাহ্ণ, জুলাই ৮, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক : পটুয়াখালীর বাউফল শহরের মধ্যদিয়ে বয়ে যাওয়া ৩টি খালে ৬টি সেতু নির্মানের জন্য একবছর আগে বাঁধ দেওয়া হয়েছিল। সেতু নির্মান শেষ হলেও বাঁধগুলো কেটে দেওয়া হয়নি। ফলে পানি প্রবাহ বন্ধ থাকায় ময়লা ও কচুরীপানা আটকে যাওয়ায় দূর্গন্ধে খালের দুই পাড়ের ১০ হাজার পরিবারের জীবন অসহনীয় হয়ে উঠেছে। এছাড়া পানি সংকট দেখা দিয়েছে খাল সংলগ্ন আমন বীজতলায়।

পৌরসভা সুত্রে জানা গেছে, পৌর শহরের আলগী নদী, বাউফল-নওমালা যৌতা খাল এবং মদনপুরা খালে জনসাধারনের চলাচলের সুবির্ধার্তে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ৬টি সেতু নির্মান করা হয়। বাউফল পৌরসভা ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে। প্রকল্পের আওতায় বাউফল পৌরসভা ভবন, মহিলা কলেজ, বাউফল বাজার, দাসপাড়া আদর্শ বালিকা বিদ্যালয়, বাউফল সরকারি কলেজ, এ এলাকাগুলোতে পাঁচটি সেতু নির্মাণ করছে বাউফল পৌরসভা।

এ ছাড়া সাবেক এমপি শহিদুল আলম তালুকদারের বাড়ির সামনে নাজিরপুর বাংলা বাজার পাবলিক মাঠ এলাকায় সেতুটি স্থাণীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর নির্মাণ করছে। সেতু নির্মানের জন্য ৮মাস আগে সংশ্লিষ্ট খালগুলোতে বাঁধ দিয়ে পানি প্রবাহ আটকে দেওয়া হয় । মার্চ মাসের শেষের দিকে সেতু নির্মান কাজ শেষ হলেও বাঁধ অপসারন করেননি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সুপ্তি বসুন্ধরা কনেসট্রাকশন। অথচ আলগী নদী, তার শাখা মদনপুরা ও নওমালা যৌতা খালের অসংখ্য শাখা প্রশাখা দিয়ে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের দিকে প্রবাহিত হয়েছে। বাঁধ অপসারন না করায় খালে পানি প্রবাহ বন্ধ থাকায় সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নগুলোর চাষীরা সেচ সংকটে পড়েছেন। পৌর শহরের মধ্যে আটকে পড়া পানিতে ময়লা আবর্জনার স্তুুপে বেড়েছে মশার উপদ্রব।

মদনপুরা পালপাড়ার সড়কের খাল পাড়ের বাসিন্দা কালাপাল জানায় তারা প্রায় ৫শ পরিবার খাল ব্যবহার করে তাদের ধোয়া মোছা গোসল এবং মাটির পণ্যের কাদামাটি কাঠ আনা নেওয়া তাদের বন্ধ হওয়ায় মারাত্মক ক্ষতির সন্মুখিন হয়েছে। মো. রুবেল বলেন, ‘আমরা খালের পানি গোসল সহ সাংসারিক কাজে ব্যবহার করতাম। এখন দূর্গন্ধে খালের ধারে কাছেও যেতে পারিনা’।

মদনপুরা ও বাউফল গ্রামের -গ্রামের আমন চাষী বলেন, নজরুল ও কাদের খা অভিযোগ করে বলেন, মদনপুরা খালের পানির প্রবাহ বন্ধ করায় আমণ বীজতলা করতে পরছেনা পানির অভাবে ।

এ বিষয়ে সুপ্তি বসুন্ধরার নামের কাজটি চললে দায়িত্বে থাকা আরিফুল ইসলাম বলেন, সেতুর নীচের বাঁধের বালি অপসরণ করা হচ্ছে।
এবিষয়ে পৌর সভার সহকারী প্রকৌশলী মুঃ আতিকুল ইসলাম বলেন , খুব শ্রীর্ঘই বাঁধের মাটি অপরসরণ করে খালের পানি প্রবাহ চলচাল করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে ।