সুন্দরবনে অপরাধ দমনে পুলিশের বিশেষ অভিযান

প্রকাশিত: ৩:৫৭ অপরাহ্ণ, জুলাই ৪, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক : সুন্দরবনে অপরাধ দমনে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে বাগেরহাট পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে মোংলার বনবিভাগের ফুয়েল জেটি থেকে এ অভিযান শুরু হয়। এ অভিযানে সুন্দরবনের খালে বিষ প্রয়োগ, বনদস্যুতা ও সুন্দরবনের চোরাশিকারীদের বিরুদ্ধে এ অভিযান বিশেষ গুরুত্ব পাবে ।

অভিযানের নেতৃত্বে রয়েছেন বাগেরহাট জেলা পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায়। সাথে রয়েছে মোংলা-রামপাল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আসিফ ইকবাল, মোংলা থানার অফিসার ইনচার্জ মো: ইকবাল বাহার চৌধুরী, ওসি (তদন্ত) তুহিন মন্ডলসহ থানার অন্যান্য অফিসার ও পুলিশ সদস্যরা। সুন্দরবন কেন্দ্রীক অপরাধকে ঘিরে বিশেষ এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।

বাগেরহাট পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় বলেন, সুন্দরবনকে আমরা সেই রকম একটি সুন্দরবন রুপান্তরিত করবো, যেটি অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে শুরু করে সমস্ত কর্মকান্ডের কেন্দ্র বিন্দু হবে। সেটি করতে গেলে শুধু সুন্দরবনে বিষ প্রয়োগকারীদের বিরুদ্ধে নয়, যারা বনদস্যুতা করে, বাঘ-হরিণ সহ বন্যপ্রানী শিকার করে তাদের প্রতি আমাদের কঠিন নিষ্ঠুরতা থাকবে। তিনি আরো বলেন, স্থানীয় সাংসদ ও পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার নিজেই সুন্দরবনকে টেককেয়ার করেন। এছাড়া আইজিপি ও ডিআইজি মহোদয়ও চাইছেন সুন্দরবনকে আমরা ট্যুরিস্ট উপযোগী করে তুলি। এছাড়া সিডর, আইলা, ফনি ও আম্পানসহ সকল দুর্যোগ থেকেই সুন্দরবন আমাদেরকে মায়ের মত আগলে রাখে, তাই এ বনটাকে সুরক্ষা দেয়াই আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য।

সকল ধরণের অপরাধ দমনে সাগর-সুন্দরবনে অভিযানের ক্ষেত্রে পুলিশের সক্ষমতার বিষয়েও তিনি বলেন, বর্তমান সক্ষমতা যা আছে, আমরা তা নিয়ে শুরু করছি। প্রয়োজনে আধুনিক ও দ্রুতগামী জলযান দিয়ে এই অভিযান চলবে। তবে, কতোদিন পর্যন্ত পুলিশের এই অভিযান চলবে তা নিদৃষ্টকওে জানাননি পুলিশ সুপার।

বিশ্ব ঐতিহ্য “ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সাইড” হিসেবে স্বীকৃত এই সুন্দরবন। বাংলাদেশে এই বনের আয়তন ৬ হাজার ১৭ বর্গকিলোমিটার। এখানে বাঘ, বনর, চিত্রা ও মায়া হরিণ, বন বিড়াল, লোনা পানির কুমির, বন্য শুকর ও উদবিড়ালসহ ৩৭৫ প্রজাতির প্রাণী রয়েছে। এছাড়া সুন্দরবনের অভ্যন্তরে থাকা নদী খালে রয়েছে অসংখ্য প্রজাতীর মাছ ও বিলুপ্ত প্রায় ইরাবতি ডলফিন।