কুড়িগ্রামে আবারো বাড়ছে ধরলার পানি দৈনিক সময় সংবাদ ২৪ ডট কম দৈনিক সময় সংবাদ ২৪ ডট কম প্রকাশিত: ৭:৪৩ অপরাহ্ণ, জুলাই ৩, ২০২০ অনলাইন ডেস্ক : কুড়িগ্রামে আবারো ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দু:চিন্তায় পড়েছেন বন্যা কবলিত মানুষেরা। স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধা ৬ টায় ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে বিপদসীমার ২৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। পানি বৃদ্ধি পেয়ে গত ২১ ঘন্টার ব্যবধানে শুক্রবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত ২৬ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৫৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে ব্রহ্মপুত্রের পানি সামন্য হ্রাস পেয়ে চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ৪২ সেন্টিমিটার ও নুনখাওয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান জানান, মূলত উজানের এবং স্থানীয় ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে ধরলার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। আর ভারী বৃষ্টিপাত না হলে ধরলার পানি আর তেমনটা বৃদ্ধি পাবে না বলে ধারনা করা হচ্ছে। তবে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি বিপদসীমার উপর থাকা অবস্থায় আগামী ৩ থেকে ৪ দিন পর পানি আবারো বৃদ্ধি পাবে। এ অবস্থায় ধরলা ও ব্রহ্মপুত্রের অববাহিকার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের ঘর-বাড়ি থেকে বন্যার পানি না নামতেই আবারো পানি বৃদ্ধি শংকার কারন হয়ে দাড়িয়েছে। এমনিতেই এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে নদ-নদীর অববাহিকার প্রায় আড়াই শতাধিক চরাঞ্চলের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে খাদ্য ও বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকটে রয়েছে। বন্যা যদি আরো দীর্ঘায়িত হয় তাহলে চরম খাদ্য সংকটে পড়তে হবে বানভাসী মানুষদের। উলিপুর উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিএম আবুল হোসেন জানান, তার ইউনিয়নের প্রায় সাড়ে তিন হাজার পরিবার প্রায় এক সপ্তাহ ধরে পানিবন্দি জীবন-যাপন করছে। এদের মধ্যে কর্মজীবি পরিবারগুলোর হাতে কোন কাজ না থাকায় খাদ্য সংকট তীব্র হচ্ছে। এই সাড়ে তিন হাজার পরিবারের মধ্যে মাত্র সাড়ে ৩শত পরিবারকে সরকারী খাদ্য সহায়তা দেয়া সম্ভব হয়েছে বলে জানান তিনি। এ অবস্থায় বন্যা যদি আরো দীর্ঘায়িত হয় তাহলে চরম সংকটে পড়বে বন্যা কবলিত মানুষেরা। অন্যদিকে ব্রহ্মপুত্রের পানি বাড়া-কমার সাথে সাথে যাত্রাপুর ইউনিয়নের গারুহারা, বলদিয়া গ্রামসহ নদ-নদী তীরবর্তী বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয়েছে নদী ভাঙ্গন। এই ভাঙ্গনের কবলে পড়ে ঘর-বাড়ি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে অনেক পরিবার। স্থানীয় ইউপি সদস্য মাইনুদ্দিন ভোলা জানান, যাত্রাপুর ইউনিয়নের বলদিয়া এলাকায় গত কয়েক দিনের ভাঙ্গনে চরম দুর্ভোগে রয়েছে ঘর-বাড়ি হারানো কয়েকটি পরিবার। একদিকে বন্যা অন্যদিকে ভাঙ্গন তারা অবর্ণনীয় কষ্টে দিন পার করছে। ধরলা নদীর ভাঙ্গন দেখা দিয়ে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের সারডোব এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে। এই বাঁধের প্রায় ৪০০ মিটার এলাকা জুড়ে ভাঙ্গন দেখা দেয়া আতংকিত হয়ে পড়েছে নদী তীরবর্তী প্রায় ২০টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মো: রেজাউল করিম জানান, জেলার বন্যা কবলিত মানুষের জন্য ৩০২ মেট্রিক টন চাল ও ৩৬ লাখ ৬৮ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়ে বিতরণ করা হয়েছে। নতুন করে আরো ১০০ মেট্রিক টন চাল ও শুকনো খাবারের জন্য ১ কোটি টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। Share this:FacebookX Related posts: কুড়িগ্রামে কর্মহীন মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ কুড়িগ্রামে কর্মহীন শ্রমিকদের মাঝে খাদ্য সহায়তা কুড়িগ্রামে মাসব্যাপী প্রেসক্লাবের সবজি বিতরণ কুড়িগ্রামে ধরলা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি দেড় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি কমায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি কুড়িগ্রামে ধরলা সেতুর ওপর থেকে ঝাঁপ দিয়ে নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু কুড়িগ্রামে ‘ভুমিদস্যু’ আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন কুড়িগ্রামে ধান ক্ষেত থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার কুড়িগ্রামে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অনুমোদনে রাজারহাটে আনন্দ র্যালি কুড়িগ্রামে বাল্যবিয়ে বন্ধে যুব সমাবেশ অনুষ্ঠিত SHARES Matched Content দেশের খবর বিষয়: আবারো বাড়ছেকুড়িগ্রামেধরলার পানি