শিরোপার দৌঁড়ে পিছিয়ে পড়লো বার্সেলোনা

প্রকাশিত: ৩:০৩ অপরাহ্ণ, জুলাই ১, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক ; শিরোপা দৌঁড়ে রিয়াল মাদ্রিদের চেয়ে বেশ পিছিয়ে পড়লো লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনা। এখনও পর্যন্ত কোন ম্যাচ না হারেনি ঠিক কিন্তু জিতেছে মাত্র ৩টিতে। সবশেষ ৪ ম্যাচের মধ্যে ড্রই হয়েছে ৩টি।

সবশেষ রিয়ালের নগর প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের সঙ্গে ড্র করেছে কাতালান ক্লাবটি। তিন পেনাল্টির ম্যাচের ফল হয়েছে ২-২ গোলে ড্র। অন্য গোলটি আবার ছিল অ্যাটলেটিকোর করা আত্মঘাতী।

লিগের ৩৩ ম্যাচ শেষে বার্সেলোনার পয়েন্ট এখন ৭০, অবস্থান দ্বিতীয়। তাদের চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলেই ৭১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থানে বসে আছে রিয়াল মাদ্রিদ। বার্সাকে রুখে দেয়া অ্যাটলেটিকোর অবস্থান তৃতীয়, সমান ৩৩ ম্যাচে সংগ্রহ ৫৯ পয়েন্ট।

মঙ্গলবার রাতে নিজেদের ঘরের মাঠের ম্যাচে পরিষ্কার ফেবারিট ছিল বার্সেলোনাই। তাদের কাজ আরও সহজ করে দেন অ্যাটলেটিকো ফরোয়ার্ড ডিয়েগো কস্তা। প্রথমে বার্সা অধিনায়ক লিওনেল মেসির ফ্রি-কিক কর্নারের মাধ্যমে ফেরান কস্তা। পরে মেসির নেয়া সেই কর্নার থেকেই কস্তার পায়ে লেগে বল জড়িয়ে যায় জালে, লিড পায় বার্সেলোনা।

সেই লিড অবশ্য বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি তারা। মিনিট চারেক পর সহজ সুযোগ নষ্ট করেন সেই কস্তা। তবে ১৯ মিনিটের সময় পেনাল্টি থেকে ম্যাচে সমতা ফেরান সাউল নিগেজ। ডি-বক্সে কারাসকোকে আর্তুরো ভিদাল ফাউল করায় পেনাল্টি পেয়েছিল অ্যাটলেটিকো।

এই পেনাল্টির সময় হয়েছে এক নাটকীয়তা। ডিয়েগো কস্তার নেয়া স্পট কিক বাম দিকে ঝাঁপিয়ে ফিরিয়েছিলেন বার্সা গোলরক্ষক মার্ক স্টেগান কিন্তু শট করার আগেই মুভ করায় উল্টো হলুদ কার্ড দেখেন তিনি। পুনরায় শট নেয়ার সুযোগ পায় অতিথিরা। তখন নিগেজের শটে সমতা ফেরে ম্যাচে।

প্রথমার্ধ শেষ হয় সমতায় থেকে। দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে ৫০ মিনিটের সময় পেনাল্টি পায় বার্সা। এবার ফাউলের শিকার হন নেলসন সেমেডু, পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। সফল স্পটকিকে দলকে এগিয়ে দেন মেসি। চলতি লিগে তার এটি ২২তম গোল।

আর পেশাদার ক্যারিয়ারে সবমিলিয়ে এটি মেসির ৭০০তম গোল। যার মধ্যে বার্সার জার্সিতেই করেছেন ৬৩০টি। অবশ্য প্রথমার্ধেই হতে পারত ৭০০তম গোলটি। কিন্তু অবলাকের দৃঢ়তায় অন্তত ৩ বার দারুণ আক্রমণ করেও ফল পাননি মেসি।

মেসির ৭০০ গোলের খুশিও বেশিক্ষণ টেকেনি। ম্যাচের ৬২ মিনিটের মাথায় আবার পেনাল্টি পায় অতিথিরা। আবারও ফাউলের শিকার হন কারাসকো, এবার তাকে ফাউল করেন সেমেডু। সহজ সুযোগ থেকে গোল করে ম্যাচে সমতা ফেরান সাউল নিগেজ। যা হয়ে থাকে ম্যাচের ফল নির্ধারণী গোলও।