দাকোপের চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলা: সিআইডর হাতে প্রধান আসামি গ্রেফতার

প্রকাশিত: ৬:৫৫ অপরাহ্ণ, জুন ২৯, ২০২০

আতিয়ার রহমান,খুলনা : সরকারি ইজারাদারদের দখলচ্যুত্য করতে এবং প্রতিপক্ষকে সাহেস্থা করতে খুলনা জেলার দাকোপের নিরিহি মৎস্যজীবি নাসির সানাকে খুন করা হয়। স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধির নির্দেশে প্রকৃত খুনিরা হয়ে যায় মামলার স্বাক্ষী।

খুলনা সিআইডির কাছে গ্রেফতারকৃত চাঞ্চল্যকর নাসির সানা হত্যা মামলার প্রধান স্বাক্ষী হাতেম সানা ১৬১ ধারার জবাববন্দীতে এ তথ্য দিয়েছে। সিআইডর কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে এসব কথা জানা গেছে।

খুলনা সিআইডি সুত্রে জানা গেছে, দাকোপের কামারগোদা খালটি স্থানীয় প্রভাবশালী একটি মহল অবৈধ্য ভাবে দখল করে আসছিল। ২০১৮ সালে জয়নগর মৎসজীবি সমবায় সমিতির সভাপতি লতিফ সানা সরকারি ভাবে ওই নদীটি ইজারা পায়। ওই নদী অবৈধ্য ভাবে দখল রাখার জন্য স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধির নির্দেশে জয়নগর গ্রামের হাতেম সানা (৫০), অচিন্ত্য মন্ডল (২৬)সহ ৫/৬ জন মিলে ২০১৮ সালের ২৭ জুন রাতে নিরিহ মৎস্যজীবি নাসির সানা (৪৮) কে হত্যা করে ঠাকুরনবাড়ি খালে ফেলে রাখে।

পরের দিন নাসির সানার বাবা আব্দুর রাজ্জাক সানাকে বাদি করে নিরিহ ১৩ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি অধিতর তদন্তের জন্য খুলনা সিআইডির ওপর দায়িত্ব দেয়া হয়। সিআইডর বিশেষ পুলিশ সুপার মোঃ আব্দুল কাদের মামলাটি তদন্তর দায়িত্ব দেন খুলনা সিআইডর পুলিশ পরির্দশক শেখ শাহাজাহানকে।

দীর্ঘ ২ বছর তদন্ত শেষে গত রবিবার রাতে ওই মামলার এক নম্বর স্বাক্ষী হাতেম আলী সানা (৪৯), শংকর মন্ডলের ছেলে অচিন্ত্য মন্ডল ও শংকর মন্ডলের স্ত্রী সন্ধ্যা মন্ডল ওরফে সোনালী মন্ডলকে সিআইডি গ্রেফতার করে।

তদন্তকারী কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, নদী নিয়ে বিরোধের জের ধরে নাসিরকে হত্যা করা হয়েছে। মামলার প্রধান স্বাক্ষী হাতেম সানা এ হত্যাকান্ডের মুল নায়ক বলে তিনি জানান। মামলার বাদি রাজ্জাক সানা বলেন, স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধির নির্দেশে আমি নিরিহ ১৩ জনের নামে মামলা দায়ের করি।

নিজেকে অক্ষর জ্ঞানহীন দাবি করে তিনি বলেন, আমার ছেলে খুন হওয়ার পরে আমাকে ভূল বুঝিয়ে এ মাম,লাটি করানো হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের গতকাল আদালতে প্রেরন করা হয়েছে। আসামিদের ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।