গোপালগঞ্জে করোনায় মৃত ব্যক্তির মুখাগ্নি করলেন ইউএনও

প্রকাশিত: ৮:৩০ অপরাহ্ণ, জুন ২৮, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক : গোপালগঞ্জে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া নিত্যানন্দ বল্লবের(৬৭) মুখাগ্নি করলেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিকুর রহমান খান। গতকাল শনিবার(২৬জুন)রাতে ওই বৃদ্ধা করোনা আক্রান্ত হয়ে সদর হাসপাতালের আইসোলেশনে থাকা অবস্থায় মারা যান। তিনি জেলার কোটালীপাড়া উপজেলার শুয়াগ্রাম ইউনিয়নের নারায়নখানা গ্রামের বাসিন্দা। পরিবারের সদস্যরা লাশ সৎকারে না আসায় শেষ পর‌্যন্ত সদর ইউএনওকে মুখগ্নিসহ অন্যান্য আনুসংগিক কার্যাদি সম্পন্ন করতে হয়।

রোববার দুপুর দেড়’টার দিকে কয়েকজন স্থানীয় ডোম এর সহযোগিতায় গোপালগঞ্জ কেন্দ্রীয় পৌর শশ্মাণে ইউএনও মৃত ওই বৃদ্ধের মুখাগ্নী ও সৎকারের যাবতীয় ব্যবস্থা করেন।

গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালের সহকারি পরিচালক অসিত কুমার মল্লিক জানান, গত ৬ জুন করোনায় আক্রান্ত নিত্যানন্দ বল্লবকে কোটালীপাড়া উপজেলা হাসপাতাল থেকে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। কিন্তু অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রিফার করা হয়। পরিবারের লোকজনের অনিহার কারণে তাকে ঢাকায় নেওয়া হয়নি।

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাদিকুর রহমান খান বলেন, রাতেই প্রশাসন পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মৃতের সৎকারের উদ্যোগ গ্রহন করে। কিন্তু শশ্মাণ কর্তৃপক্ষের বাঁধা ও মৃতের লাশ নেওয়ার জন্য কোন ভ্যান ব্যবস্থা করতে না পারায় সকালে সৎকারের উদ্যোগ নেয়া হয়। কিন্তু সকালে পরিবারের সদস্যরা কেউ লাশ সৎকারের জন্য আসেননি।

এমন কি মোবাইল ফোনেও তাদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। পরে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে পরিবারের কোন সদস্য না আসায় দুপুরে স্থানীয় কয়েক জন ডোমের সহযোগিতায় মৃতের লাশের সৎকার করা হয়। আর নিজ দায়িত্বে মৃতের মুখাগ্নি করলেন ইউএনও। তিনি আরো জানান, করোনায় মৃতের লাশ কবর স্থান বা শশ্মাণে নিতে গিয়ে তাদের বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। তাই এসব মৃত দেহ দাফন বা সৎকারের জন্য একটি ভ্যানের ব্যবস্থা থাকা উচিত বলে মন্তব্য করেন। লাশের সৎকারের সময় ডাঃ এস এম সাকিবুর রহমান ও ডাঃ জাহিদ উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে এ পর‌্যন্ত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৬০৯ জন ।

মোট আক্রান্তদের মধ্যে ৩১২ জন সুস্থ হয়েছেন, বাকী ২৮৭ জন জেলার বিভিন্ন হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ও বাড়ীতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। জেলায় ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীসহ ৫০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এ পর‌্যন্ত জেলায় ৪ হাজার ৯১১ জনের নমুনা পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।