খুলনা ডুমুরিয়া উপজেলা ভদ্রা নদীর শোভনা সেতু মেরামতের নামে চাঁদার অভিযোগ

প্রকাশিত: ৫:০২ অপরাহ্ণ, জুন ২৭, ২০২০

আতিয়ার রহমান,খুলনা : খুলনা ডুমুরিয়া উপজেলার ভদ্রদিয়া নদীর শোভনা সেতু মেরামতের নামে উঠেছে চাঁদার অভিযোগ। এ নদীর উপর দিয়ে নির্মিত বাশেঁর সেতু দিয়ে শোভনা এলাকার হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে।

ভরাট ভদ্রা পূণঃখনন করায় মানুষের যাতাযাত জন্য অস্থায়ী ভাবে একটা বাশেঁর সেতু তৈরি করা হলেও স্থায়ী ভাবে একটি ব্রীজ নির্মান করা হবে জানা গেছে। মহামারী করোনার কারণে সকল কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এ সুযোগে কিছু অসাধূ ব্যক্তি বাশেঁর সেতু মেরামতের নামে ব্যাপক চাদাঁবাজী করছে কলে অভিযোগ উঠেছে।

সরেজমিন যেয়ে এবং একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে জানা যায় শোভনা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও তার কিছু অনুসারী বাশেঁর সেতু মেরামতের নামে খেটে কাওয়া মানুষের কাছ থেকে চাদাঁ আদায় করছেন। শোভনা এলাকার বাসিন্দা পশুপতি দাশ, ভোলানাথ দাশ,মন্টুদাশ বলেন,এলাকার সেতু মেরামত করার জন্য কর্তপক্ষ রয়েছ্ েরয়েছে এলাকার চেয়াম্যান,মেম্বর। অথচ আমাদের মত খেটে খাওয়া মানুষের কাছ থেকে জোর জুলুম করে টাকা নিয়ে সেতুর নামে চাঁদা আদায় করেছন শোভনা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সরদার আব্দুল গণী ও তার কিছু নিজস্ব অনুসারী।

৭নং শোভনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুরঞ্জিত বৈদ্য বলে সেতু বা রাস্তা মেরামত কেন ইউনিয়নের যে কোন সমস্যা সমাধানে জনগণ ভোট দিয়ে আমাকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছেন। এ সেতুটি ভেঙ্গে গেছে শুনে সাথে সাথে আমি ছুটে এসেছি। কিভাবে মেরামত করা যায় এসব নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। তবে এলাকায় এসে শোনা যাচ্ছে বাশেঁর সেতু মেরামতের নামে কেউ কেউ টাকা আদায় করছেন। এর ফলে সাধারণ মানুষ যেমন কষ্ট পাচ্ছে সরকার ও আমার দলের ভাবমুর্তিও নষ্ট হচ্ছে। তিনি এসকল বিষয় উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে লিখিত ভাবে জানাবেন বলে জনগনকে আশ্বাস দেন। উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী এজাজ বলেন, পানি উন্নয়ণ বোর্ড থেকে কাঠের সেতু করা হয়। পরে সেটি ভেঙ্গে যায়। যে কারণে উপজেলা পরিষদ থেকে একটি বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে ।

ওই টাকা দিয়ে মেরামত করা হবে বলে তিনি জানান। তবে শোভনা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সরদার আব্দুল গণী চাদাঁ আদায়ের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এলাকার সাধারন মানুষের কষ্টের কথা ভেবে এলাকাবাসীর সার্বিক সহযোগিতায় এ সেতু নির্মান করা হয়েছে। অনেকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে বাঁশ,গাছ কিনে এই সেতু মেরামত করেছি সত্য। তবে সেটি কোন চাঁদা আদায় নয়। আর একজনের কাছ থেকেও জোর জুলুম করে টাকা নেওয়া হয়নি।