ডুমুরিয়ায় পেঁপে চাষে উৎসাহ বাড়ছে

প্রকাশিত: ৪:৩৯ অপরাহ্ণ, জুন ২৭, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক : খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বর্তমানে ঘেরের পাড়ে ও পতিত জমিতে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে পেঁপে চাষে উৎসাহ বাড়ছে। অনেকেই রাসায়নিক সার ও কীটনাশকমুক্ত পেঁপে চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। এদের মধ্যে উপজেলার আটলিয়া ইউনিয়নের বরাতিয়া গ্রামের দীপালী রাণী দে অন্যতম।

উপজেলা কৃষি অফিসের মাধ্যমে দীপালী রাণী দে জানতে পারেন, বেলে-দোআঁঁশ মাটিতে ও উচু জমিতে পেঁপে চাষ করা সম্ভব এবং এতে রোগবালাইও তুলনামূলক কম হয়। তিনি কৃষি বিভাগের পরামর্শ মোতাবেক ঘেরের পাড়ে অনাবাদি অবস্থায় পড়ে থাকা প্রায় দুই একর জমি বাণিজ্যিক ভাবে পেঁপে চাষে উৎসাহিত হন। এরপর তিনি দেড় একর জমিতে ১৫শ পেঁপে গাছ রোপণ করেন। তিনি মাদা পদ্ধতিতে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে স্থানীয় উন্নত জাতের পেঁপের চারা রোপণ করেন।

তিনি জানান, কৃষি অফিসের পরামর্শে চারা রোপণের আগে এক ফুট দৈর্ঘ্য ও এক ফুট প্রস্থ গর্ত করে রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের পরিবর্তে জৈব সার ও নিমপাতা দিয়ে এক সপ্তাহ গর্তগুলো ভরে রাখেন। এরপর দেড় মাস বয়সের পেঁপে চারা রোপণের ৩ মাস পর গাছে ফুল ধরে। ধীরে ধীরে ফল ধরতে শুরু করে। ৪ মাস পর থেকে ফল সংগ্রহ শুরু হয়।

তিনি আরও জানান, পাকা ফল অধিক জনপ্রিয় হলেও বিপণন ব্যবস্থার প্রতিকূলতা থাকায় কাঁচা ফল সবজি হিসেবে বিক্রি করেন। তিনি মাত্র ৮০ হাজার টাকা পেঁপে চাষে ব্যয় করে ৬ থেকে ৭ মাসের মধ্যে প্রায় ৫ লাখ টাকার পেঁপে বিক্রি করেন। একটি গাছ ৩-৪ বছর ফল দেয়। বৈরী পরিস্থিতি তৈরি না হলে আরও ১৫ লাখের অধিক টাকার পেঁপে বিক্রি করতে পারবেন।

এ ব্যাপারে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ডি. কৃষিবিদ ইকতিয়ার হোসেন বলেন, তিনি পেঁপে চাষিদেরকে সার্বক্ষণিক সহযোগিতা ও পরামর্শ প্রদান করেন। বর্তমানে বাড়ির আঙিনায় পতিত জমিতে বিভিন্ন সবজি চাষের পাশাপাশি কৃষকরা স্বল্প পুঁজি খাটিয়ে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে স্থানীয় জাতের পেঁপে চাষে উৎসাহিত হয়েছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মোছাদ্দেক হোসেন জানান, ডুমুরিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চাষিরা এখন পেঁপে চাষে আগ্রহ বেড়েছে। তিনিসহ উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা চাষিদের বিভিন্ন পরামর্শসহ বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা করে থাকেন।

তবে ডুমুরিয়া উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. হাফিজুর রহমান ঠিক মত‌ না আসায় পেঁপে চাষে ভালো পরামর্শ না পাওয়ায় বঞ্চিত হচ্ছেন অনেক কৃষক। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন অনেকেই।