বেগমগঞ্জে ব্যবসায়ী খুন

প্রকাশিত: ১১:০৪ অপরাহ্ণ, জুন ২২, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক : নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে মোহাম্মদ উল্যাহ (৫৫) নামের এক ব্যবসায়ী খুনের শিকার হয়েছেন। সোমবার বিকালে পুলিশ উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীনারায়নপুর গ্রামের ফজলুল হক মাষ্টারের বাড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করে। মোহাম্মদ উল্যাহ ওই বাড়ির মৃত আবদুল জাব্বারের পুত্র ও চৌমুহনী পোষ্ট অফিস রোড আলিফ প্রেসের মালিক। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

নিহতের স্বজনরা জানায়, মোহাম্মদ উল্যার সাথে একই বাড়ীর আবদুল কাদেরের পুত্র আবু তাহেরের দীর্ঘদিন থেকে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলছিলো। এ নিয়ে আবু তাহের বেগমগঞ্জ থানায় মোহাম্মদ উল্যাহর বিরুদ্ধে মামলা করেন। সেই মামলায় রোববার রাতে বেগমগঞ্জ মডেল থানা পুলিশের এস.আই সাহেদের নেতৃত্বে একদল তাকে পুলিশ গ্রেফতার করতে বাড়িতে অভিযান চালায়। কিন্তু পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মোহাম্মদ উল্যাহ গ্রেফতার এড়াতে বাসার ছাদ দিয়ে পুকুর পাড়ের আম গাছে উঠে পড়ে।

পুলিশ ঘর তল্লাসী করে না পেয়ে বাড়ির সামনে চলে আসে। এ সময় মোহাম্মদ উল্যাহ পানিতে পড়ে যায়। পরে মামলার বাদির ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা তাকে মারধর করলে তিনি গুরুতর আহত হন। তখন পুলিশ মোহাম্মদ উল্যাহকে গ্রেফতার না করে তার স্ত্রীর জিম্মায় দিয়ে দেন। স্ত্রী ও সন্তানরা তাকে গুরুতর অবস্থায় মাইজদী ও চৌমুহনীর একাধিক হাসপাতালে নিয়ে গেলেও করোনার কারণে কোন হাসপাতাল ভর্তি বা চিকিৎসা করায় নি। এক পর্যায়ে নোয়াখালী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার মোহাম্মদ উল্যাহকে মৃত ঘোষনা করেন।

এদিকে নিহতের স্বজনরা লাশ নিয়ে বাড়িতে আসার পর পুলিশ কবরস্থ করার জন্য নির্দেশ দিলেও তার আত্মীয় স্বজনরা লাশ কবর দেয়নি। এক পর্যায়ে মামলার বাদী ও তার লোকজন একত্রিত হয়ে লাশটি দাফনের জন্য কবর খোঁড়ে। কিন্তু স্থানীয় সংবাদকর্মীরা বিষয়টি নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপারের নজরে আনলে তিনি লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন। এর পর বিকালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(বেগমগঞ্জ সার্কেল) শাহ জাহান শেখের নেতৃত্বে ওসি হারুন উর রশিদ ও ওসি তদন্ত ইকবার হাবার চৌধুরীসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে সুরুত হাল প্রতিবেদন তৈরীর ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(বেগমগঞ্জ সার্কেল) শাহ জাহান শেখ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আমরা মৃতদেহটি উদ্ধার করেছি। ময়নাতদন্ত হবে, রিপোর্টের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এখন কেউ মামলা করতে চাইলে আমরা মামলা নেব। আমরা বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখবো।