চিকিৎসক রাকিব হত্যার ঘটনায় খুলনা সদর থানার ওসি বুলবুল প্রত্যাহার

প্রকাশিত: ৪:৫১ অপরাহ্ণ, জুন ২২, ২০২০

আতিয়ার রহমান,খুলনা : দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ পাওয়ায় খুলনা সদর থানার ভার প্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) আসলাম বাহার বুলবুলকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। রোববার সন্ধায় তাকে প্রত্যাহার করে রিজার্ভ অফিসে সংযুক্ত করাহয়। নগরীর রাইসাক্লিনিকের পরিচালক ডা. আব্দুর রকিবখান (৫৯) রোগীর স্বজনদের হামলায় মৃত্যুর পর চিকিৎসকরা তার পদত্যাগ দাবি করেছিলেন। এর প্রেক্ষিতে তাকে প্রত্যাহার করা হয়। থানায় ওসি না থাকায় বুলবুল ওসি’র অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতেন তিনি।

ডা. রকিবের ছোটভাই খুলনা মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক সাইফুল ইসলাম ও অভিযোগ করেন হামলার পর সদর থানায় মামলা করতে গেলে ওসি তদন্ত বুলবুল মামলা নানিয়ে বিভিন্ন টাল বাহানা করেন। এত আসামীরা পালিয়ে যায়।

খুলনা মেট্রোপলিটনপুলিশের (কেএমপি) মুখপাত্র ও উপ-পুলিশকমিশনার শেখ মনিরুজ্জামান মিঠু বলেন, খুলনা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আসলাম বাহার বুলবুলের বিরুদ্ধে আনীতঅভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় তাকে রিজার্ভ অফিসে সংযুক্ত করা হয়েছে। হরিণটানার ওসি আশরাফ হোসেনকে খুলনা থানার ওসি হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ডা. রকিবের হত্যার ঘটনার সব আসামিদের গ্রেফতার ও খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসিতদন্ত) আসলাম বাহার বুলবুলের প্রত্যাহারের দাবিতে বুধবার থেকে সব সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকের চিকিৎসকরা কর্ম বিরতি শুরু করেন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রধান আসামিসহ উল্লেখ যোগ্য এজাহার ভুক্ত আসামিরা গ্রেফতার হওয়ায় বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ৭২ ঘণ্টার জন্য তাদের কর্মবিরত স্থগিতকরেন।

উল্লেখ্য, নগরীর মোহাম্মদ নগরের পল্লবী সড়কের বাসিন্দা আবুল আলীর স্ত্রী শিউলী বেগমকে ১৪ জুন সিজারের জন্য রাইসা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। ওই দিন বিকেল ৫টায় অপারেশন হয়। রোগীর রক্তক্ষরণ হলে ১৫ জুন সকালে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসকরাও রোগী রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে না পেরে ঢাকায় পাঠান।

ঢাকায় নেওয়ার পথে ১৫ জুন রাতেি শউলী বেগম মারা যান। এ ঘটনায় মৃত রোগীর স্বজনরা ১৫ জুন রাতে ক্লিনিকের পরিচালক চিকিৎসক রকিবকে মারপিট করে জখম করে। খুলনার শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।