জয়পুরহাটে এক গৃহবধু সহ ২ জনের লাশ উদ্ধার

প্রকাশিত: ১২:৩০ অপরাহ্ণ, জুন ২০, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক : জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর ও ক্ষেতলাল উপজেলা থেকে ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে এক গৃহবধু সহ দুই জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় গৃহবধুর স্বামীকে আটক করা হয়েছে।

আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ওবায়েদ জানান, আক্কেলপুর উপজেলার গুডুম্বা পূর্বপাড়া গ্রামে রোজিনা বেগম (১৮) নামের এক গৃহবধুর মরদেহ শনিবার সকালে উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা আধুনিক হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

পরিবারের দাবি, হত্যার পর রোজিনার স্বামী মেহেদী হাসান মরদেহ রাস্তার ওপর ফেলে রাখে। শনিবার ভোর রাতে এ ঘটনা ঘটেছে।

পরিবার ও পুলিশ সূত্র জানায়, দেড়মাস আগে গুডুম্বা পূর্বপাড়া গ্রামের মকবুল হোসেনের মেয়ে রোজিনা বেগমের সাথে বিয়ে হয় পাশ্ববর্তী হরিসাড়া গ্রামের মেহেদি হাসানের। মেহেদীর রং না শুকাতেই জীবন দিতে হলো পাসন্ড স্বামীর নির্মম ছুরিকাঘাতে। মেহেদি হাসানের এটি ছিল দ্বিতীয় বিয়ে। শুক্রবার রাতে নিজের বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে মেহেদি হাসান রোজিনাকে শ্বশুর বাড়ি থেকে নিয়ে আসে। শনিবার ভোরেই বাবার বাড়ি থেকে সামান্য দুরে সড়কের ওপর তার রক্তমাখা মরদেহ পাওয়া যায়।

নিহত রোজিনার বাবা মকবুল হোসেন বলেন, শুক্রবার রাতে জামাই মেহেদি হাসান এসে মেয়েকে নিয়ে যায়। শনিবার সকালে তার মরদেহ পাওয়া যায়।

বাবা মকবুল হোসেনের দাবি, মেহেদি হাসানই তার মেয়েকে হত্যা করে মরদেহ গুডুম্বা পূর্বপাড়া গ্রামের পাশের সড়কে ফেলে যায়।

আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু ওবায়েদ জানান, নিহতের পেটে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। এ ঘটনায় রোজিনার স্বামী মেহেদী হাসান (৩৪) কে আটক করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

অপরদিকে, ক্ষেতলাল উপজেলার হিন্দাশাহী পাড়া এলাকার মাঠ থেকে শুক্রবার সকালে আরাম আলী সরদার ঠান্ডু (৪৫) নামে এক কৃষকের মরদেহ উদ্ধার করেছে ক্ষেতলাল থানা পুলিশ। সে দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিল বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলে প্রকৃত রহস্য জানা যাবে বলে জানায় পুলিশ।