পটিয়ায় শ্রীমতি খালের বালি মাটি সিন্ডিকেটের কবলে,ঝুঁকির মুখে শ্রীমাই বেরিবাঁধ

প্রকাশিত: ৮:৪২ অপরাহ্ণ, জুন ১৬, ২০২০

পটিয়া (চট্টগ্রাম) থেকে সেলিম চৌধুরীঃ-চট্টগ্রামের পটিয়া হাইদগাও ২নং ওয়ার্ড দিয়ে বয়ে যাওয়া শ্রীমতি খালের ভাঙ্গনে মানুষের কোটি কোটি টাকার জমি এখন ভূমিদস্যুদের হাতে জিম্মি প্রকাশ্যে লুট করে নেয়া হচ্ছে বালু আর মাটি এলাকাবাসীর দাবি এভাবে যদি প্রতিনিয়তই স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের তোয়াক্কা না করে বালু উত্তোলন করা হলে অচিরেই আমাদের বসত বাড়ি হারাতে হবে।

খাল ভাঙ্গনে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে শ্রীমতি খালের বেরিবাঁধ। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষগুলো সুএে জানাগেছে,আমরা সব হারিয়ে এইটুকু আশা নিয়ে ছিলাম যে আমাদের জমি গুলো একদিন চর উঠবে আমরা আবার আগের মতো কৃষি জমিতে ফসল উৎপাদন করব কিন্তু দুঃখজনক হলেও এটা সত্যি খালের চর উঠেছে কিন্তু আমরা ফসল ফলাতে পারছিনা ভূমিদস্যুদের হাতে জিম্মি আমাদের জমি প্রতিদিন ২০/৩০ টি ট্রাক দিয়ে ড্রেজারে এর সাহায্যে শত শত ট্রাক বালু উত্তোলন করে বালু বিক্রি করতেছে বালি ও মাটি ব্যাবসায়ী সিন্ডিকেট।

প্রশাসনে যেন তাদের কাছে খেলনা,এমপি শামসুল হক চৌধুরী এসে জায়গা গুলো পরিদর্শন করে স্থানীয় জনগণকে আশ্বস্ত করেন বালু উত্তোলন বন্ধ করা হবে খাল আগের জায়গায় খনন করা হবে ।

জানা গেছে,প্রশাসন ব্যবস্থা নিলে কয়েক দিন বন্ধ থাকলেও থেমে নেই ভূমিদস্যুদের বালুর ব্যবসা। সরকারী দলের কথিপয় লোকজনের ছত্রছায়ায় থেকে একটি প্রভাবশালী মহল দাপট দেখিয়ে বালু উত্তোলনের কার্যক্রম চালু রেখেছে কেউ বাধা দিলে বালু উত্তোলনে রাতের বেলায় পুলিশ এসে হাজির কয়েকটা মামলা নিয়ে তার বাসায়। বালু মহল, ইজারার নামে দিনে ও রাতে প্রতিদিন চলছে শ্রীমতি খাল,থেকে বালু ও মাঠি লুট। সরকারী নীতিমালা না মেনে বালু উত্তোলনের কারণে বর্ষা মৌসুমে শ্রীমতি খালের দুই পাড় ভেঙ্গে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।

স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব দেবী চন্দ্রের বসতভিটে গেল বর্ষা মৌসুমে পাহাড়ী ঢল এবং বর্তমানে ড্রেজার ও এস্কেভেটর দিয়ে বালু উত্তোলনে তার বসতঘর হুমকির সম্মুখীন। দিনে রাতে বর্ষার মৌসুমে পাহাড়ী ঢল এবং বর্তমানে ড্রেজার ও এস্কেভেটর দিয়ে বালু উত্তোলনে বসতঘর হুমকির সম্মুখীন ফলে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে এলাকাগুলো বিলীন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এলাকাবাসী জানিয়েছেন, উপ-সচিব বিষয়টি ইতোমধ্যে উপজেলা প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করেছেন।

পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা জাহান সাংবাদিকদের জানান, আমি কয়েকবার অভিযান পরিচালনা করে ড্রেজার ধ্বংস করি।আমার কাছে যদি অভিযোগ আসে সেটার ভিত্তিতে আমি পূণরায় ব্যবস্থা গ্রহন করবো। এলাবাসী জাতীয় সংসদের হুইপ পটিয়ার এমপি আলহাজ্ব শামসুল হক চৌধুরীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।