বাণিজ্য মেলায় ২৫০ টাকার মধ্যে পুলিশের চাঁদা ১১০ টাকা

প্রকাশিত: ৬:৩৫ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৯

নিউজ ডেস্কঃ মাত্র দুই দিন পরই শুরু হতে যাচ্ছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা। মাসব্যাপী এ মেলার প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে। এবারের ৪৫০টি স্টল নির্মাণে অস্থায়ী ভিত্তিতে কাজ করছেন অন্তত কয়েক হাজার শ্রমিক। আর তাদের খাবারের চাহিদা মেটাতে ও নির্মাণ সামগ্রী বিক্রি করতে মেলা মাঠে অস্থায়ী ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে বেশ কিছু দোকান।মেলা শুরুর আগেই অস্থায়ী এসব ব্যবসা কেন্দ্র করে লেনদেন ছাড়ায় কোটি টাকা। তবে, দোকান বসাতে চাঁদাবাজির অভিযোগ আছে প্রভাবশালী ও পুলিশের বিরুদ্ধে।ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলাকে সামনে রেখে শেরে বাংলা নগরে মেলা প্রাঙ্গণের কর্মযজ্ঞ চলছে রাতদিন। মেলার মাঠে কথা হলো গেন্ডারিয়া থেকে আসা লাবনী আক্তারের সঙ্গে। গেলো কয়েক বছর ধরেই মেলার প্রস্তুতিকে কেন্দ্র করে অস্থায়ী মোবাইলের দোকান দেন তিনি। ডিসেম্বরের পুরোটা সময় বেচাবিক্রি বেশ ভালো। মূলত মেলার বিভিন্ন স্টল ও প্যাভিলিয়নের নির্মাণ শ্রমিকরা ভিড় করেন দোকানটিতে।

নতুন মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস

তিনি বলেন, বেচা বিক্রি বেশ ভালো। এখানে আমি একাই। কাস্টমাররাও আমার পরিচিত হয়ে গেছে।ছড়িয়ে ছিটিয়ে এমন শ’খানেক বিভিন্ন ধরনের দোকান বসেছে মেলার মাঠে। একই রকম দোকান বসে মেলা শেষে স্থাপনা ভাঙ্গার সময়ও। এরমধ্যে নির্মাণ সামগ্রী ও খাবারের দোকানই বেশি।শ্রমিকরা বলেন, ১ মাসের জন্য কাজ করতে এসেছি। প্রতিদিন ৫শ’ টাকা করে পাই।অভিযোগ আছে মেলা মাঠের এসব অস্থায়ী দোকানে চাঁদা আদায় করে প্রভাবশালীরা ও পুলিশের কিছু সদস্য। মেলা শুরু হওয়ার পর তারা মেলা প্রাঙ্গণের বাইরে দোকান বসাতেও সাহায্য করেন চাঁদার বিনিময়ে।বিক্রেতারা বলেন, ২৫০ টাকা করে চাঁদা দিতে হয়। মানুষের চলাফেরা বেশি হলে চাঁদার পরিমাণও বাড়ে। পুলিশ নেয় ১১০ টাকা।এবারের মেলার প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো ২৩ কোটি ১৬ লাখ টাকা বরাদ্দ রেখেছে।