পুলিশ সুপারের উদারতায় ঠাঁই পেলো শিশুটি

প্রকাশিত: ৪:২৩ অপরাহ্ণ, জুন ৭, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক : শুক্রবার রাত তখন ৮টার কাছাকাছি। নওগাঁর পাহাড়পুর থেকে জামালগঞ্জ যাওয়ার সড়কটি এমনিতেই সুনসান নীরব হয়ে পড়ে সন্ধ্যার পর। তাতে আবার করোনা মহামারীর এই ক্রান্তিকাল।

হঠাৎ করেই পথচলতি মানুষের কানে আসে পাকুড় গাছের দিক থেকে নবজাতক শিশুর কান্নার শব্দ।

হতচকিত মানুষগুলো আবিষ্কার করে ব্যাগের ভেতরে রাখা একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তান। যেন এক মানব শিশু নয় উন্মোচিত হয় মানুষের নিষ্ঠুরতার এক নারকীয় রূপ। ৩/৪ দিন হতে পারে শিশুটির বয়স। কে বা কারা এই নিস্পাপ শিশুটিকে ফেলে রেখে গেছে অনিশ্চিত অন্ধকারে।

স্থানীয় লোকজনের ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছে যায় পাহাড়পুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ। কোলে তুলে নেন শিশুটিকে। ফোন করে অবগত করেন নওগাঁর পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আবদুল মান্নান মিয়াকে। পুলিশ সুপার তৎক্ষণাৎ শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করানোসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা প্রদান করেন।

বদলগাছী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে উদ্বেগ আর আশংকা নিয়ে অপেক্ষা করতে থাকেন পাহাড়পুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. মনিরুল ইসলাম। কর্তব্যরত চিকিৎসক সুস্থতার ছাড়পত্র দিলে শিশুটিকে নিয়ে দুধ মাতার সন্ধান করেন তিনি। পরবর্তীতে পাহাড়পুর ফাঁড়ির পাশে একজন দুধ মাতার খোঁজ পেয়ে এবং পুলিশ সুপারের পরামর্শক্রমে তার কাছে শিশুটিকে জিম্মায় রাখেন। মানবিক পুলিশ আবারও দাতার ভূমিকায়।

এভাবেই নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার ঐতিহাসিক পাহাড়পুর থেকে পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আবদুল মান্নান মিয়ার সার্বিক পরামর্শে শুক্রবার রাতে কন্যা নবজাতকটিকে উদ্ধার করে একজনের জিম্মায় রাখা হয়। পুলিশ সুপারের এমন ভূমিকাকে অনন্য বলে আখ্যায়িত করেছেন সুধীমহল।