জনবল আছে, নেই সেবা

প্রকাশিত: ৬:১৯ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৯

নিউজ ডেস্কঃ   গাইবান্ধা সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নে রামচন্দ্রপুর পল্লী স্বাস্থ্য কেন্দ্র। এলাকার বেশিরভাগ মানুষের মাঝে এটি বালুয়া হাসপাতাল হিসেবে পরিচিত। একসময় এই স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে চার উপজেলার অন্তত ১০ লাখ মানুষ চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতেন। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানটির বেহাল দশা।কর্তৃপক্ষের অযত্ন আর অবহেলায় ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে ১৮ বিঘা জমির উপর র্নিমিত ১০ শয্যা বিশিষ্ট এই হাসপাতালটি। হাসপাতালের মূল অবকাঠামোসহ আবাসিক ভবনগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। দেয়াল থেকে পলেস্তার খসে পড়ছে, দীর্ঘদিন ব্যবহার না হওয়ায় হাসপাতালের অনেক মূল্যবান যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে গেছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় হাসপাতালের প্রধান ফটকে গরু, ছাগল, ভেড়া বিচরণ করছে।

ওআইসির যুব রাজধানী স্বীকৃতি উদযাপনে বছরব্যাপী কর্মসূচি

আশার কথা হলো, এই হাসপাতালে দুইজন সদ্য এমবিবিএস ডাক্তার যোগদান করেছে। তারা নিয়মিত আউটডোরে রোগীর চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। নার্সসহ ১৯ পদের মধ্যে বর্তমানে ১৭টি পদে জনবল রয়েছে। জনবল থাকলেও মেডিকেল অফিসার ও দু’য়েকজন নার্স ছাড়া কেউই নিয়মিত আসেন না হাসপাতালে।১০ শয্যা বিশিষ্ট এই হাসপাতালটির নানা জটিলতায় ২০০৮ সালে ইনডোর সেবা বন্ধ হয়ে যায়। পরে উদ্যোগ গ্রহণ করা হলেও তা চালু করা সম্ভব হয়নি।এ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে আসা এক ব্যক্তি বলেন, আগে নিয়মিত চিকিৎসা সেবা পাওয়া যেত, রক্ত পরীক্ষা, প্রস্রাব পরীক্ষা করা হতো। রোগী ভর্তি করা হতো, বর্তমানে কোনো কিছুই নেই। গ্যাস আর জ্বরের ঔষুধ ছাড়া কিছু পাওয়া যায় না।

ইভিএম ব্যবস্থাপনায় থাকবে ৫২৮০ সেনা সদস্য

সিভিল সার্জন ডা. এবিএম আবু হানিফ বলেন, রামচন্দ্রপুর পল্লী স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি ১৯৬২ সালে স্থাপন করা হয়। প্রশাসনিক কারণসহ নানাবিধ জটিলতা ও জনবল সংকটের কারণে কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়, তবে আমরা আউটডোর সার্ভিস চালু রাখতে সক্ষম হয়েছি। স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি চালুর জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দিয়েছেন। সেই প্রতিবেদনের আলোকে জেলা প্রশাসকসহ আমরা পরিদর্শন করে একটি প্রতিবেদন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করেছি।এলাকাবাসী হাসপাতালটির পূর্বের পরিবেশে ফিরিয়ে আনার জন্য দাবি জানান।