বাউফলে যুবলীগ নেতা হত্যাকান্ডের অন্যতম আসামী সাইমুন গ্রেফতার

প্রকাশিত: ১০:৫১ অপরাহ্ণ, জুন ১, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক : পটুয়াখালীর বাউফলে তোরণ নির্মাণকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে যুবলীগ কর্মী তাপস দাস হত্যার অন্যতম আসামী সাইমুন প্যাদাকে গ্রেফতারকরেছে ডিবি পুলিশ।

গত ৩১ মে রোববার রাতে ঢাকার বাবুবাজার এলাকার একটি কর্মজীবী হোষ্টেল থেকে তাকে গ্রেফতারকরা হয়। সাইমুন যুবলীগ নেতা তাপস হত্যা মামলার ৩ নম্বর আসামি। সাইমুনকে রোববার রাতে বাউফল থানায় নিয়ে আসার পর তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি চাকু উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে পুলিশ সোহাগ, সুব্রত ওরফে কার্তিক ও মিন্টু নামের ৩ জনকে গ্রেফতারকরেছে।

বাউফল থানা সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পটুয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ বিল্লাল হোসেনের নেতৃত্বে ডিবি পুলিশের একটি টিম ঢাকার বাবু বাজারের একটি কর্মজীবী হোস্টেল থেকে গ্রেফতারকরে সাইমুনকে।

এরপর সাইমুনকে বাউফলে নিয়ে আসার পর তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ি রোববার মধ্যরাতে বাউফল পৌর শহরের ৫ নং ওয়ার্ডের সনজিৎ সাহা ওরফ সুনু সাহার বাড়ির কাছের একটি ডোবা থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত চাকুটি উদ্ধার করে পুলিশ।

মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা বাউফল থানার ওসি (তদন্ত) আল মামুন জানান, সাইমুনকে সোমবার আদালত সোপর্দ করে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২৪ মে রোববার দুপুরে বাউফল থানার সামনে তোরণ নির্মাণকে কেন্দ্র করে সাবেক চিফ হুইপ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আসম ফিরোজের সমর্থিত নেতা কর্মীদের সঙ্গে বাউফল পৌর মেয়র জিয়াউল হক জুয়েলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে যুবলীগ নেতা তাপস দাস খুন হয়।

ঘটনার ভিডিও ফুটেজ ও স্থির চিত্রে ছুড়ি হাতে সাইমুনকে যুবলীগ নেতা তাপসের দিকে তেড়ে যেতে দেখা যায়।

এ ঘটনায় নিহত তাপসের বড় ভাই পংকজ দাস বাদি হয়ে বাউফল পৌর সভার মেয়র জিয়াউল হক জুয়লকে প্রধান আসামি করে ৩৫ জনের বিরুদ্ধে বাউফল থানায় একটি হত্যা মামলা মামলা দায়ের করেন।