সারা দেশকে যেসব জোনে ভাগ করার কথা জানালেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ৮:৩৯ অপরাহ্ণ, জুন ১, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক : করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সারা দেশকে লাল, সবুজ ও হলুদ জোনে ভাগ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক স্বপন। সোমবার করোনাভাইরাস প্রতিরোধ বিষয়ে করণীয় সংক্রান্ত সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান। সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জের মেয়র, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এখনও জোন করা হয়নি। যখন করা হবে তখন জানতে পারবেন। ঢাকা, নারায়াণগঞ্জ, গাজীপুর ও চট্টগ্রামে সবচেয়ে বেশি সংক্রমিত হয়েছে। যদি কোনো জোন রেড হয় সেগুলো রেড করা হবে।

‘বাংলাদেশের অধিকাংশ জেলা ও উপজেলা এখনও ভালো আছে। আমরা সেটা ভালো রাখতে চাই। সেটা রাখতেই আজ এই সভা করা হলো। গত পরশুদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছি আমাদের বিশেষজ্ঞ টিম নিয়ে। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিস্তারিত এ বিষয়ে আলাপ হয়েছে।’

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী পরামর্শ দিয়েছেন। সে পরামর্শ নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এখন আমরা একটা প্ল্যান তৈরি করবো। সেটা নিয়ে নীতিগতভাবে এখানে আলোচনা হয়ে গেছে। আমরা এখন সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা দিয়ে দেবো। তখন মেয়র, স্বাস্থ্য, স্বারাষ্ট্র ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সবাই মিলে বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করবো।

জোন কীভাবে করা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের পরিকল্পনা এখন পর্যন্ত এটাই। এখন বিশেষজ্ঞরা কীভাবে বাস্তবায়ন করবেন বা জোনিং করবেন সেটা তারা জানেন।

এলাকাভিত্তিক লকডাউনের কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, জোনের মাধ্যমেই সব করা হবে। যেখানে বেশি সংক্রমিত হবে সেখানে কয়েকদিনের জন্য বন্ধ রাখা হবে। তবে বিশেষজ্ঞরা যেভাবে পরামর্শ দেবে সেভাবেই আমরা কাজ করবো।

ঢাকা, চট্টগ্রাম, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জকে রেড জোনে ফেলা হবে কিনা জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এ কাজ বিশেষজ্ঞরা করবেন। তবে আমরা মনে করি রেড জোন হওয়া উচিত। কারণ এখানে অনেক সংক্রমিত।

পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের সংক্রমণের হার প্রতিদিনই বাড়ছে। পাশাপাশি করোনা পরীক্ষার হারও বাড়ছে। আজ সেজন্য কয়েকটা জোন মার্কিং করছি। যেমন, রেড, গ্রিন ও ইয়োলো। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ছিল এই জোনগুলোর মধ্যে রেড জোনকে কীভাবে গ্রিন জোন করা যায় সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ বিষয়ে কিছু প্রস্তাবনা দেবেন। সেই প্রস্তাবনা আমরা খব শিগগিরই বাস্তবায়ন করবো।‘এছাড়া জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে ইতোমধ্যে একটি নির্দেশনা দিয়েছেন যে ২৫ শতাংশ কর্মকর্তার বেশি কেউ যেন একসঙ্গে অফিসে না আসে। বা পর্যায়ক্রমে তারা যাতে অফিসে আসে।’