ট্রাম্পের মধ্যস্থতার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিল ভারত-চীন

প্রকাশিত: ৬:২৩ অপরাহ্ণ, মে ৩০, ২০২০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : লাদাখ সীমান্তে চীনের সঙ্গে বিরোধের কারণে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মেজাজ খুব খারাপ- শুক্রবার দিনের শুরুটা হয়েছিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এমন ‘মনগড়া’ টুইট দিয়ে। এরপর ভারত-চীনে দিনভর নানা আলোচনা। এতে শেষপর্যন্ত যা দাঁড়িয়েছে তা হলো- কাশ্মীর সংকটের মতো লাদাখ সমস্যাতেও ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে ট্রাম্পের মধ্যস্থতার প্রস্তাব।

শনিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এখনও সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু না বললেও সূত্রের মাধ্যমে জানা গেছে, ট্রাম্পের মধ্যস্থতার প্রস্তুব ফিরিয়ে দিয়েছে ভারত। অন্যদিকে, চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকেও একই বার্তা গেছে হোয়াইট হাউসে।

সূত্রের বরাতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, ভারতের কোনও ধরনের মধ্যস্থতার দরকার নেই- ভারতীয় প্রতিরক্ষমন্ত্রী রাজনাথ সিং নিজেই সেটি মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপারকে জানিয়ে দিয়েছেন।

গত বুধবার প্রথমবার ভারত-চীনের মধ্যে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দেন ট্রাম্প। সেই সময় ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, আপাতত এর দরকার নেই, চীনের সঙ্গে তাদেরই সরাসরি কথা চলছে। পরের দিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফের দাবি করেন, মোদির সঙ্গে তার কথা হয়েছে, চীন-বিরোধের জন্য মন-মেজাজ খারাপ এ বিজেপি নেতার। এর পরপরই ভারত জানায়, ট্রাম্পের সঙ্গে গত ৪ এপ্রিলের পর মোদির আর কথা হয়নি। পরে রাজনাথ সিং ফোন করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর কাছে। স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ভারত আপাতত কারও মধ্যস্থতা চায় না।

ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে,ফোনে দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সহযোগিতা নিয়ে কথা হয়েছে দুই মন্ত্রীর। রাজনাথ সিং তাদের জানিয়ে দিয়েছেন, ভারত-চীনের মধ্যে বিদ্যমান ব্যবস্থাতেই উত্তেজনা কমাতে আলোচনা হবে।

এদিকে, চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান জানিয়েছেন, ভারত-চীন দ্বন্দ্ব মেটাতে কোনও তৃতীয়পক্ষের হস্তক্ষেপ লাগবে না। নিজেদের মধ্যেই আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে এই সংকটের মীমাংসা সম্ভব।

চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রেন গৌকিয়াং বলেছেন, সীমান্তের অবস্থা স্থিতিশীল এবং পরিস্থিতিও নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। আগেও আলোচনার মাধ্যমে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান হয়েছে, এবারও হবে।

তবে, দুই পক্ষই আলোচনার কথা বললেও পূর্ব লাদাখের পরিস্থিতির এখনও কোনও পরিবর্তন হয়নি। কবে এই অচলাবস্থা মিটবে, তাও বলা কঠিন।