শীত নিয়ে সুখবর দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর

প্রকাশিত: ৬:১৪ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৯

নিউজ ডেস্কঃ   তাপমাত্রা প্রায় ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়লেও শনিবার সকাল থেকেই তা আবার নিচে নেমে গেছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, রোববারও ঘন কুয়াশার সঙ্গে কনকনে ঠাণ্ডা থাকবে। রাজশাহী, রংপুরসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কোনো কোনো এলাকায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ থাকতে পারে।এদিকে শীতজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব দিন দিন বেড়েই চলছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুসারে, শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ২৯৬টি উপজেলায় শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে আরও চার হাজার ১৯৬ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। গত ১ নভেম্বর থেকে গতকাল পর্যন্ত ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শীতজনিত রোগে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দুই লাখ ৭৮ হাজার ৭৫১ জন।আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে, দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে স্বাভাবিক লঘুচাপের প্রভাবে দেশের অনেক এলাকার আকাশই মেঘাচ্ছন্ন কয়েক দিন ধরে।

আন্টার্কটিকাকেও ছাপিয়ে গেল কাশ্মীরের তাপমাত্রা

বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত কোথাও কোথাও হালকা বৃষ্টিপাতও হয়েছে। ওই দিন পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অবশ্য গতকাল সেখানে তাপমাত্রা নেমে যায় ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। তবে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৭ দশমিক ২ দিনাজপুরে।গতকাল দুপুরের দিকে কুয়াশার চাদর ভেদ করে উঁকি দেয় মিষ্টি রোদ। যদিও তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। কিছুটা হলেও সুখবর হচ্ছে, আজ রোববারও কুয়াশা কেটে গিয়ে রোদের দেখা মিলবে।

খুলনায় জঙ্গী সংগঠন আল্লাহর দল’র রিপনসহ ৫ সক্রিয় সদস্য গ্রেফতার

এ তথ্য জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুল হামিদ। তিনি বলেন, রোববার রোদের কারণে ঠাণ্ডা কিছুটা কম অনুভূত হতে পারে। তবে তাপমাত্রা বৃদ্ধির সম্ভাবনা তেমন একটা নেই। ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪,১৯৬ জনগত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ২৯৬টি উপজেলায় শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৬৬৮ জন। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে আসে এক হাজার ৬৩৯ জন। শীতজনিত অন্যান্য রোগে ভর্তি হয়েছে এক হাজার ৮৮৯ জন।শীতজনিত রোগ থেকে রক্ষায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়া, ঠাণ্ডা এড়িয়ে চলা, গরম কাপড়চোপড় ব্যবহার, গরম খাবার ও গরম পানি ব্যবহার করা, প্রয়োজনমতো চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।