তাহিরপুরে নিরীহ পরিবারের উপড় হামলা-আহত ৫

প্রকাশিত: ৭:৫৩ অপরাহ্ণ, মে ২৭, ২০২০

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : তাহিরপুর উপজেলার শ্রীপুর (উত্তর)ইউনিয়নে আতশবাজি ফোটানোকে কেন্দ্র করে পল্লী চিকিৎসকের হামলায় মহিলাসহ ৫ জন আহত হয়েছে। গতকাল সোমবার রাত ৯ টার দিকে উপজেলার ১নং শ্রীপুর (উত্তর)ইউনিয়নের বালিয়াঘাট(বাদারঘড়)গ্রামে এই হামলার ঘটনা ঘটে।

আহতদের মধ্যে রেহানা বেগমের অবস্থা আশংকা হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাহিরপুর সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকী আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আহতরা হলেন,শাহ আলম (৬৫),শাহ আলমের স্ত্রী রেহানা বেগম (৫৫),আব্দুর রশিদের ছেলে সাদ্দাম হোসেন (৩০),শাহ আলমের ২ মেয়ে সাকিলা আক্তার(১৭) ও রাকিবা আক্তার (১০)।

স্থানীয়রা জানায়- সোমবার রাত ৯ দিকে পল্লী চিকিৎসক রাজ্জাকের ভাতিজা,জয়,রোকন,শান্ত,আলামিন ও সোহাগ মিয়া মিলে,শাহ আলমের বসত ঘরের দরজার সামনে আতশবাজি ফোটায়। এতে শাহ আলম বিরক্ত হয়ে বকাবকি করে নিষেদ করেন আতশবাজি ফোটাতে।তার কিছুক্ষণ পরেই পল্লী চিকিৎসক রাজ্জাক ও তার ভাই-ভাতিজা একত্র হয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে শাহ আলমের বসত ঘরে হামলা চালিয়ে ৫ জনকে আহত করে ও বাড়ি-ঘর ভাংচুরসহ ৫০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়।

হামলাকারীরা হলো-বালিয়াঘাট(বাদারঘড়)গ্রামের রশিদ মিয়া ছেলে রাজ্জাক(৩৫),নুরু মিয়া(৪২),কদ্দুস মিয়া(৩৭),শহিদ মিয়া(৩৯),নুরু মিয়ার ছেলে সুজন মিয়া(২৫),সোহাগ মিয়া(২১),শহিদ মিয়ার ছেলে আলামিন(২০) ও শান্ত মিয়া(১৮)।

তাহিরপুর থানার (ওসি)মোহাম্মদ আতিকুর রহমান জানান-খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণ করে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। তবে পুনরায় সংঘর্ষ এড়াতে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।