নান্দাইলে বেড়েছে রাজস্ব আদায় ও ভূমি অফিসে সেবার মান

প্রকাশিত: ১:০১ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৯

নিউজ ডেস্কঃ ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলা ভূমি অফিসে মানসম্মত সেবা ও রাজস্ব আদায় দুটোই বেড়েছে। সেবা গ্রহীতাদের খারিজ বা যেকোন আবেদনের ২৫/৩৬ কার্যদিবসের মধ্যে তা নিষ্পত্তি করা হচ্ছে।১ জুলাই থেকে শতভাগ ই-নামজারি আবেদন শুরু হয়েছে। আবেদনগুলো ২৮ কার্যদিবসের মধ্যে নিষ্পত্তি করা হয়ে থাকে যদি আবেদনকারী কাগজপত্রে কোন জটিলতা না থাকে। এরই বিশেষ একটি ভালো দিক হচ্ছে ভূমি অফিসে দালাদের কোন পাত্তা দিচ্ছেন না উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদা আক্তার। এতে সাধারণ সেবা গ্রহীতারা সহজেই ও অল্প সময়ে মানসম্মত সেবা পাচ্ছে।এতে করে সরকারি রাজস্ব আদায়ও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভুমি অফিসের রেকর্ড অনুযায়ী কর্মকর্তাদের নানা মুখী তৎপরতায় গত অর্থ বছরের তুলনায় এই অর্থ বছরে ইতিমধ্যে ২৫ শতাংশ রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পেয়েছে।

https://dainiksomoysangbad24.com/news/1127

অফিসে তিন জন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা, সাতজন উপ সহকারী ভূমি কর্মকর্তা, একজন প্রধান সহকারী, একজন সার্ভেয়ার, একজন নাজির সহ অন্যান্য পোস্ট মিলিয়ে ১২ জন জনবল মূল অফিসে কর্মরত রয়েছে এবং ডিজিটাল হাজিরায় তাদের উপস্থিতি সন্তোষজনক।এই মানসম্মত সেবা ও রাজস্ব আদায় বৃদ্ধির পিছনে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদা আক্তারের রয়েছে দৃঢ় শ্রম, মেধা ও পরিকল্পনা বাস্তবায়ন।তিনি গত ২০১৭ সনের ৮ অক্টোবর থেকে অফিসের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে নিজের সততাকে সঙ্গী করে সেবার মান উন্নয়নে সবসময় সচেষ্ট রয়েছেন। নিয়মিত অংশগ্রহণ করছেন বাজার মনিটরিং ও মোবাইল কোর্টে। শত ভাগ ই-নামজারি এখন পর্যন্ত ৫৯৭টি আবেদন জমা হয়েছে এবং ইতোমধ্যে ৪০০টি আবেদন নিষ্পত্তি করা হয়েছে।

https://dainiksomoysangbad24.com/news/1124

এছাড়া নান্দাইলের সকল খাস জমি ও অর্পিত সম্পত্তির ছবিসহ ডাটাবেইজ তৈরি করা হয়েছে। রাজস্ব আয় বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে বিভিন্ন হাট বাজারে প্রকৃত ব্যবসায়িদের মাঝে বন্দোবস্ত দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এতে করে একই ব্যাক্তির একাধিক পজিশন দখলে রাখার প্রবণতা বন্ধ হবে।বাজারে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে। নান্দাইলে একটি বালুমহাল থাকলেও কোন জলমহাল নেই, স্থানীয় ব্যাক্তির আবেদনের পেক্ষিতে আগামী মৌসুমে জলমহাল বাস্তবায়ন করা হবে। এতে করে জলাশয়টিতে সরকারের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা হবে পাশাপাশি রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে।উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদা আক্তার বলেন, ‘আমি শুধু আমার সঠিক দায়িত্বটা ভালোভাবে পালন করে করার চেষ্টা করছি।’উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আব্দুর রহিম সুজন বলেন, ‘মানুষের মধ্যে ভূমি অফিস সম্পর্কে অনেক ভুল ধারণা রয়েছে। সাধারণ মানুষের প্রতি পরামর্শ আপনারা নিজের কাজ নিজে করুন, দেখবেন ভুল ভেঙে যাবে।’