কলাপাড়ায় সেতু ভেঙ্গে জনদুর্ভোগ চরমে

প্রকাশিত: ৭:৩৯ অপরাহ্ণ, মে ৬, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক : পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার কুয়াকাটার লতাচাপলী ইউনিয়নের লক্ষ্মী বাজার নদীর ওপর নির্মিত লোহার সেতুটি দীর্ঘ দিন ধরে ভাঙ্গা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। দেড় যুগ আগে নির্মিত ব্রীজটিতে সংস্কারের ছোঁয়া লাগেনি গত কয়েক বছরেও।
এর ফলে লতাচাপলী ও খাপড়াভাঙ্গা ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ পড়েছেন দুর্ভোগে। বর্তমানে আয়রন ব্রীজটি ভেঙ্গে নদীগর্ভে পড়ে থাকায় জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।

একদিকে করোনার কারণে মানুষ ঘরবন্দি হয়ে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। অপরদিকে দুই ইউনিয়নের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় এ অঞ্চলের হতদরিদ্র কৃষকের উৎপাদিত ফসল বাজারজাত করতে না পেরে আরও অসহায় হয়ে পড়েছেন তারা। এমনকি সেতু ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে সেখানে সরকারি বেসরকারি ও ব্যক্তিগত সহায়তা পৌঁছানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

ওই এলাকার মানুষের নিত্যদিনের বাজার করতে যেতে হয় আলীপুর ও মহিপুরে। মিশ্রিপাড়া, নয়ামিশ্রিপাড়া, লক্ষ্মীর হাট, খাপড়াভাঙ্গা ও মনসাতলী গ্রামের মানুষ ওই ব্রীজটি পার হয়ে বাজারে যেত। ব্রীজটি ভেঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে ঘরবন্দি মানুষের কষ্টের যেন শেষ নেই।

ভুক্তভোগী এলাকাবাসীরা জানান, ২০০১ সালে এলজিইডি লক্ষ্মীর খালের ওপর ব্রীজটি নির্মাণ করে। প্রতিদিন এই ব্রীজের উপর দিয়ে খাপড়াভাঙ্গা ও লতাচাপলী ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ চলাচল করতো। করোনা ভাইরাসের কারণে বর্তমানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও স্বাভাবিক সময় কুয়াকাটা খানাবাদ ডিগ্রী কলেজ, ঐতিহ্যবাহী মিশ্রীপাড়া ফাতেমা হাই মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মিশ্রিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহস্রাধিক ছাত্র-ছাত্রী ব্রীজ পার হয়ে স্কুল কলেজে যাতায়াত করতো।

গত কয়েক বছরেও মেরামত না হওয়ায় সম্প্রতি ব্রীজটি ভেঙ্গে নদীতে পড়ে যায়। এতে দুই ইউনিয়নের যোগাযোগ একেবারে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এখনও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।

লতাচাপলী ইউপি চেয়ারম্যান মো. আনছার উদ্দিন মোল্লা বলেন, অনেক আগেই ব্রীজটি চলাচলের অনুপযোগী ঘোষণা করা হয়েছে। লতাচাপলী ইউনিয়নে এ রকম আরও ৪টি ব্রীজ আছে যা দ্রুত সংস্কার করা দরকার। অন্যথায় যেকোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। আমরা সংস্কারের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে যোগাযোগ করেছি।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলী মো. মহর আলী বলেন, আমি জানতে পেরেছি ওই ব্রীজ আরসিসি হিসেবে অনুমোদন পেয়েছে শিঘ্রই দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু হবে।