গৌরীপুরে পালুহাটি বাজারের দোকানে ভাংচুর-লুটপাট, সংঘর্ষে আহত-১০

প্রকাশিত: ৮:৪০ অপরাহ্ণ, মে ৩, ২০২০

কমল সরকার’গৌরীপুর : পূর্ব বিরোধের জের ধরে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার পালুহাটি বাজারে কাপড় ও গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াহাবের (৪৮) দোকানে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টায় হামলা চালিয়ে ভাংচুর এবং লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় কাইয়ূম মিয়া (৩৫) ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে। ঘটনার বিচার চাওয়ায় পরদিন শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে পালুহাটি বাজারে পুনরায় হামলা চালিয়ে আব্দুল ওয়াহাব ও তার লোকজনকে পিঠিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়।

এসময় সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গছে। হামলায় গুরুতর আহত পালুহাটি গ্রামের আব্দুল ওয়াহাব ও তার চাচাতো ভাই ফেরদৌস মিয়া (৩৫) ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

আব্দুল ওয়াহাবের চাচা আলমগীর হোসেন জানান, পালুহাটি গ্রামের মাজেদ আলীর ছেলে কাইয়ূম মিয়া ও জমশেদ আলীর ছেলে রতন মিয়ার (৩৫) সাথে আব্দুল ওয়াহাবের পারিবারিক বিরোধ চলছিল। এ বিরোধে বৃহস্পতিবার রাতে কাইয়ূম ও রতনের নেতৃত্বে প্রায় ২৫ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পালুহাটি বাজারে আব্দুল ওয়াহাবের কাপড় ও গ্যাস সিলিন্ডারের দোকানে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর-লুটপাট করে।

এ ঘটনায় গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে বিচার চাওয়ায় পরদিন সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে পালুহাটি বাজারে পুনরায় অতর্কিতে হামলা চালিয়ে আব্দুল ওয়াহাবকে গুরুতর আহত করে প্রতিপক্ষের লোকজন। এসময় তাকে এ হামলা থেকে বাঁচাতে গিয়ে তিনিসহ ফেরদৌস মিয়া (৩৫), আব্দুল হেলিম (৫০), সনি (১৮), নাহার বেগম (৪০) আহত হন। বর্তমানে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিৎিসাধীন তার ভাতিজা আব্দুল ওয়াহাব ও ফেরদৌস মিয়ার অবস্থা আশংঙ্কাজনক।

এ ঘটনায় তিনি গৌরীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানান তিনি। আলমগীর হোসেন আরো বলেন, হামলাকারী কাইয়ূম মিয়া ও রতন মিয়া এবং তাদের লোকজন দাঙ্গাবাজ প্রকৃতির। তাদের নামে বিভিন্ন অপরাধে গৌরীপুর থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।

এদিকে এ হামলার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে কাইয়ূম মিয়া জানান, একটি নির্মাণাধীন রাস্তার জন্য ট্রাক থেকে পাথর নামানোর কাজে শ্রমিক ছাঁটাইয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওয়াহাবের সাথে রতন মিয়ার বিরোধ সৃষ্টি হয়। এ বিরোধেই হামলা-ভাংচুর ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের সময় রতন মিয়া ও তার পিতা জমশেদ আলী এবং ভাই সাগর আহত হন। সংঘর্ষ ফেরাতে গিয়ে তিনি নিজেও আহত হয়েছেন বলে জানান। তিনি বলেন, হামলার ঘটনায় রতন মিয়া বাদী হয়ে গৌরীপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গৌরীপুর থানার ওসি মোঃ বোরহান উদ্দিন জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এ হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় উভয়পক্ষ থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি বলেন, ঘটনাটি আপোষ মীমাংসার জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগণ থানা থেকে সময় নিয়েছেন। উভয়পক্ষের মধ্যে এ ঘটনা আপোষ মিমাংসা না হলে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে জানান তিনি।