গৌরীপুরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছে গণমাধ্যম কর্মীরা

প্রকাশিত: ৮:৩৯ অপরাহ্ণ, মে ২, ২০২০

কমল সরকার” গৌরীপুর : করেনাভাইরাসের কারণে গোটা দেশ অবরুদ্ধ। দিনকে দিন পাল্লা দিয়ে বিশ্বের সাথে বাংলাদেশেও বাড়ছে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। প্রতিনিয়ত মৃত্যুর মিছিল বড় হচ্ছে। তবুও থেমে নেই দেশের মফস্বল সাংবদিকরা। ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার সাংবাদিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাঠে-ঘাটে সারাদিন ছুটে চলেছেন নিউজ কভারেজ করার জন্য। মানুষের মাঝে দিন-রাত পৌছে দিচ্ছেন সারা উপজেলার খবরা খবর। খোঁজ রাখছেন চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার।

খোঁজ রাখছেন কোথায় লকডাউন ব্যাহত হচ্ছে’ কোথায় সন্ধান পাওয়া গেছে সন্দেহভাজন করোনা আক্রান্ত রোগী। সেই রোগী কি ঘরে আছে না বাহিরে ঘুরাফেরা করছে জনস্বার্থে তার খবরও রাখতে হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসনকে জানাতে হচ্ছে সেই খবর। প্রতিদিন জানতে হচ্ছে উপজেলা থেকে করোনার নমুনা কতজনের নেয়া হয়েছে- সেই রিপোর্ট পজেটিভ না নিগেটিভ এসেছে। সাধারণ জনগণ তাদের কাছে জানতে চায় ফলাফল কি হয়েছে? তাই একদিকে যেমন কর্মহীন, নিস্ম ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোকে খাদ্য সহায়তা দিচ্ছেন সরকারসহ অন্যান্য ব্যাক্তি বা সংগঠন। ফলে বাড়ছে সাংবাদিকদের করোনায় আক্রান্তের ঝুঁকির মাত্রা।

কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই খাদ্য সহায়তা বিতরণকালে সামাজিক দুরুত্ব বজায় থাকছে না। ফলে শুভানূধ্যায়ীরা সাংবাদিকদের নিয়ে শংকায় আছেন। সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর থেকেই প্রতিদিনই সরকার” বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংগঠন ও ব্যাক্তি উদ্যোগে অসহায় ও দুঃস্থদের মাঝে খাদ্য সহায়তা পৌছে দিচ্ছেন। আর সেই নিউজ কভার করার জন্য সাংবাদিকরা ঝুঁকি নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ছুটে যেতে হচ্ছে।

একইসাথে বিভিন্ন নেতাকর্মি এবং দল ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সুশৃংখলভাবে খাদ্য সহায়তা বিতরণের পাশে রয়েছেন সাংবাদিক। এছাড়া একাধিক স্থানে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে সাংবাদিকরা উপস্থিত থেকে খাদ্য বন্টন কার্যক্রম তদারকি করতে হয়। এতে করে সাংবাদিকরা রয়েছেন চরম জীবন ঝুঁকিতে। যদিও ইতোমধ্য গৌরীপুরের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দিন আহমেদ ব্যাক্তিগত ভাবে কয়েকজন সাংবাদিককে পিপিই প্রদান করেছেন। এ পিপিই কতটুকু সুরক্ষা দিবে তাদের তা বলা সময় সাপেক্ষ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাংবাদিক বান্ধব বেশ কয়েজনের বক্তব্য হচ্ছে যেভাবে সাংবাদিকরা সরেজমিনে গিয়ে কাজ করছেন, এটা অব্যাহত থাকলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সমুহ সম্ভাবনা রয়েছে সাংবাদিকদের। তবে এ আশংখায় বসে নেই গৌরীপুর উপজেলার সাংবাদিকরা। সাধারণ মানুষ অনেক কষ্টে দিন কাটাচ্ছে।

তাদের চিন্তা মাথায় রেখেই সেবা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন সাংবাদিক মহল। গভীর রাতে খুন হলে ছুটে যায় সাংবাদিক,করোনা ভাইরাসে মারা গেলে ছুটে যায় সাংবাদিক, কোন সংঘর্ষ হলে রাত- বিরাতে জীবনের ঝুকি নিয়ে ছুটে যায় সাংবাদিক’ করোনা উপসর্গ নিয়ে বাড়ী আছেন ছুটে যেতে হয় সাংবাদিককে। প্রশাসনকে খবর জানাতে হয় সাংবাদিককে।

এক্ষেত্রে গৌরীপুরে বেশ কয়েক জন সাংবাদিক আছেন যারা চরম কষ্টে দিনাতিপাত করছেন। ঘরবদ্ধ জীবনে চরম আর্থিক অনটনে রয়েছেন তারা। তারা না পারছেন লাইনে দাঁড়িয়ে ত্রান নিতে’ না পারছেন কারো কাছে কিছু চাইতে। নিম্ন ও বিত্তবানবানদের মধ্যখানে পড়ে যাতাকলে চিপসে যাচ্ছে তারা। এরপরও ভাল-মন্দ নিউজ করার জন্য দায়িত্ব পালনে ছুটে চলেছেন অভাবী সাংবাদিকরা। এদের দেখার কেউ নেই। সাংবাদিকরা আজ সংসার ধর্ম ফেলে দেশের ক্রান্তিলগ্নে ঝুঁকি নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের সাথেও কাজ করে যাচ্ছেন সমান গতিতে। এর পরও বলছি’ আপনারা ঘরে থাকুন’ খবর পৌঁছে দিবো আমরা।