বিশ্বের অধিকাংশ দেশ প্রাথমিক সতর্কবার্তা উপেক্ষা করায় ভুগতে হচ্ছে : ডব্লিউএইচও

প্রকাশিত: ৯:১৩ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৯, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক : মহামারি করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের কড়া সমালোচনা করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়াসুস। করোনা রুখতে সংস্থাটির ব্যর্থতার অভিযোগ ওঠার পর বিশ্বনেতাদেরই পাল্টা আক্রমণ করলেন তিনি।

গেব্রিয়াসুস দাবি করেন, বিশ্বের অধিকাংশ দেশ তাদের দেওয়া প্রাথমিক সতর্কবার্তা উপেক্ষা করেছে। আর সে কারণেই এই দেশগুলোকে এখন ভুগতে হচ্ছে। যে দেশগুলো এই সতর্কবার্তা মেনে চলেছে, তারা অনেক ভালো জায়গায় আছে।

ডব্লিউএইচও’র নিয়মিত বিবৃতিতে সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল বলেন, ‘আমরা যখন প্রথম সতর্কবার্তা দিয়েছিলাম, তখনই আমাদের কথা শোনা উচিত ছিল। আমরা অনেক আগেই পুরো বিশ্বকে করোনা রুখতে ব্যবস্থা নিতে বলেছিলাম। আমরা জানিয়েছিলাম, করোনার উপসর্গ আছে এমন রোগীদের খুঁজে বের করে পরীক্ষা করাতে হবে। ওদের সংস্পর্শে যারা আসছে তাদের শনাক্ত করতে হবে। এবং আইসোলেট করতে হবে। কিন্তু আমরা তো শুধু পরামর্শ দিতে পারি। কোনো দেশকে আমাদের পরামর্শ শুনতে বাধ্য করার মতো অধিকার আমাদের নেই। যারা আমাদের কথা তখন শুনেছে, তারা এখন ভাল জায়গায় আছে। যারা শোনেনি তাদের ভুগতে হচ্ছে।’

গেব্রিয়াসুস আরও বলেন, ‘আমরা গত ৩০ জানুয়ারি বিশ্বের সব দেশকে সতর্ক করেছিলাম। তাদের জানানো হয়েছিল, করোনা ভাইরাসের ফলে সর্বোচ্চ স্তরের জরুরি অবস্থা সৃষ্টি হতে পারে। তখনো চীনের বাইরে গোটা বিশ্ব আক্রান্তের সংখ্যা ছিল মাত্র ৮২ জন ছিল।’

তার অভিযোগ, অনেক দেশই তখন এ সতর্কবার্তা উপেক্ষা করেছে। আর সেই দেশগুলোকে এখন সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। আসলে তিনি নাম ধরে না বললেও এর মাধ্যমে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকেই আক্রমণ করতে চেয়েছেন।

কারণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ব্যর্থতা আর চীনের প্রতি পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে তিনিই সবচেয়ে বেশি সরব হয়েছে। এ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে দেওয়া আর্থিক সাহায্যও বন্ধ করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি মার্কিন নাগরিকরা গেব্রিয়াসুসের পদত্যাগের দাবিতে গণস্বাক্ষর অভিযানও শুরু করেছেন। সব মিলিয়ে ঘরে বাইরে বেশ চাপের মুখে পড়ে গিয়েছিলেন তিনি। তাই এবার তিনি এ পাল্টা আক্রমণ করলেন।