গৗরীপুরে নিত্যপণ্যে সামগ্রীর অস্বাভাবিক মূল্যে বৃদ্ধি, বিপাকে সাধারণ মানুষ

প্রকাশিত: ২:৪৫ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৮, ২০২০

কমল সরকার’গৌরীপুর : নিত্যপন্য সামগ্রী পরিবহনের গাড়ি লকডাউনের আওতামুক্ত রাখার পরও করোনা ও পবিত্র মাহে রমজানকে পুঁজি করে ময়মনসিংহের গৌরীপুরে দিন দিন বেড়ে চলেছে নিত্যপণ্যে সামগ্রীর দাম। শুধু মানুষের নিত্যপণ্য নয়, বেড়েছে গবাদিপশুর খাদ্যসহ অন্যান্য সকল জিনিসপত্রের দাম।

একদিকে করোনা আতঙ্ক অন্যদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় বর্তমানে স্থানীয় সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস শুরু হয়ে গেছে।

সরজমিনে বাজার ঘুরে দেখা গেছে,১৪শ-১৫শ টাকার ৫০ কেজির চালের বস্তা এখন বিক্রি হচ্ছে ২২শ-২৫শ টাকা, ৬০ টাকা কেজির মুড়ি বিক্রি হচ্ছে ১শ টাকায়, ৯০ টাকা কেজির আদা বিক্রি হচ্ছে ৩শ ৫০-৩শ ৮০ টাকায়, ৫৫ টাকা কেজির মোটা মুসুরির ডাল বিক্রি হচ্ছে ১শ টাকায়, ৯০ টাকার চিকন মুসুরির ডাল বিক্রি হচ্ছে দেড়’শ টাকায়, ৫০ টাকা কেজির খেসারির ডাল বিক্রি হচ্ছে ১শ টাকা, ৬০ টাকা কেজির বেসন বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা, ১শ ৮০ টাকা কেজির শুকনা মরিচ ২শ ৩০-২শ ৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে, ৮৫ টাকার সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১শ ১০টাকা লিটার, ৫০ টাকা কেজির চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। এছাড়া কাঁচা বাজারে ২০ টাকা কেজির বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০-১শ টাকায়। ১০ টাকা কেজির শশার দাম হয়েছে ৩০-৪০ টাকা।

তাছাড়া অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে মসলাজাতীয় পণ্য, খেঁজুরসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম। স্থানীয় কয়েকজন ভোক্তা এ মুল্যবৃদ্ধির পেছনে অসাধু ব্যবসায়ী চক্রকে দায়ী করে বলেন, করোনা ভাইরাসকে পুঁজি করে কৃত্রিমভাবে বাড়ানো হচ্ছে নিত্যপণ্যের দাম। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মুল্যবৃদ্ধিতে তাদের চরম কষ্ট পোহাতে হচ্ছে। নিত্যপণ্যের দাম মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।

এ ক্ষেত্রে স্থানীয় কয়েকজন কৃষক জানান, বাজারে কাঁচা জাতীয় পণ্য চড়া দামে বিক্রি হলেও তাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মুল্য পাচ্ছেন না। কয়েকজন ব্যবসায়ীর সাথে কথা বলে জানা গেছে,পাইকারি বাজারে জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি করায় তাদেরও বেশি দামে ক্রয় করে বেশী দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

গৌরীপুর ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের সভাপতি মোঃ ইউসূফ আলী বলেন, পাইকারী বাজারে সকল নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় স্থানীয় খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় মুড়ির দামও বাড়াতে হয়েছে বলে তিনি জানান।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেঁজুতি ধর বলেন, বাজারে নিত্যপণ্যে সামগ্রীর মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রশাসনের পক্ষে বাজার মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।