খুলনার স্বাস্থ্য বিভাগে বিনা বেতনে কাজ করছে আউটসোর্সিং কর্মচারীরা দৈনিক সময় সংবাদ ২৪ ডট কম দৈনিক সময় সংবাদ ২৪ ডট কম প্রকাশিত: ২:৪২ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৮, ২০২০ আতিয়ার রহমান,খুলনা ; খুলনার সরকারি হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিনা বেতনে ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছে আউটসোর্সিং কর্মচারিরা। বছর পার হতে চললেও কোন বেতন পায়নি তারা। একদিকে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে অন্যদিকে করোনার ভয় থাকলেও নিয়মিত অফিস করতে হচ্ছে তাদের। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানও এখন এসব কর্মচারিদের দায়িত্ব নিচ্ছে না। মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ পাওয়া এসব কর্মচারিরা অসহায় ও মানবেতর জীবন যাপন করছে। সিভিল সার্জনের দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ২১১ জন আউটসোর্সিং কর্মচারী নিয়োগের উদ্যোগ নেয় খুলনা সিভিল সার্জন দপ্তর। গতবছর ১২মে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি দেয় সংশ্লিষ্ট দপ্তর। টেন্ডারের মাধ্যমে ফুলতলা উপজেলার দামোদর এলাকার মেসার্স তাকবীর এন্টারপ্রাইজ নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জনবল সরবরাহের কার্যাদেশ পায়। এর আগে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় গত বছর জানুয়ারি মাসের স্মারকে এ নিয়োগের নির্দেশনা দিয়েছিলো। নিয়োগ প্রক্রিয়ার সময় অভিযোগ উঠেছিল মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে এসব কর্মচারীদের নিয়োগ দেয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। একাধিক কর্মচারীর সাথে কথা বলে এ অভিযোগের সত্যতাও পাওয়া গেছে। মাহবুব নামে কর্মরত এক কর্মচারি বলেন, নিয়োগের সময় যে টাকা খরচ হয়েছে তাও পাইনি। গত এক বছর ধরেই বিনা বেতনে কাজ করছি। আশায় আছি এই বুঝি বেতন পাব। এই দুর্যোগের মধ্যেও নিয়মিত হাসপাতালে ডিউটি পালন করছি। এখন যদি করোনায় আক্রান্ত হই আমার পরিবারের কি হবে? খুলনা সিভিল সার্জন সাক্ষরিত গত বছরের ২৬ মে’র পদায়নপত্রে রয়েছে- কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৭ জন, বটিয়াঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৬ জন, বিভিন্ন উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ১২ জন, রূপসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১১ জন, দিঘলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৪ জন, তেরখাদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১১ জন, কপিলমুনি ১০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে তিনজন, পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৮ জন এবং দাকোপ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৪ জন,নগরীর টুটপাড়া সদর আরবান ডিসপেনসারীতে ১১ জন, ফুলতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৯ জন, খুলনা জেনারেল হাসপাতালে ৩১ জন, তেরখাদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০ জন, ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৪ জনকে পদায়ন করা হয়। তবে এর মধ্যে গত এক বছরে বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে বেতন না পেয়ে চাকুরি ছেড়ে দিয়েছে অনেকেই। ফুলতলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: শেখ মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, আউটসোর্সিং কর্মচারীদের তিনি কাজ শিখিয়ে নিচ্ছেন। যাতে তারা দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে উঠতে পারে। এসব বিষয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স তাকবির এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ইখতিয়ার উদ্দিন বলেন, টেন্ডারের মাধ্যমে ২০১৯ সালে ১২মে ওয়ার্ক অর্ডার পাই। ২৬মে তালিকা প্রদান করি। অর্থ মন্ত্রণালয়ে ফাইল আটকে আছে। এর মধ্যে করোনার প্রভাব আসায় বিপাকে পড়তে হয়েছে। না হলেও এতদিন হয়তো বেতন দেওয়া সম্ভব হতো। তবে অর্থ মন্ত্রনসালয় থেকে বিল পাস হলে সকল কর্মচারী একসাথে সব বেতন এককালীন পেয়ে যাবে। তিনি বলেন, উপজেলা পর্যায়ে কর্মচারীরা পাবে ১৪ হাজার ৪৫০ টাকা হারে এবং সিটি কর্পোরেশন এলাকায় এর চেয়ে আরও ৫শ’ টাকা বেশি বেতন পাবে। এসব কর্মচারিদের বিষয়ে সিভিল সার্জন ডাঃ সুজাত আহমেদ বলেন, আমি যোগদানের পর চেষ্টা করেছি যাতে এসব কর্মচারিরা বেতন পায়। মন্ত্রনালয়েও কথা বলেছি। করোনার কারনে ফাইলটি বর্তমানে অর্থমন্ত্রনালয়ে আটকে আছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে হয়তো তারা বেতন পাবে। Share this:FacebookX Related posts: খুলনার প্রতিটি উপজেলায় নির্মিত হবে কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র করোনাভাইরাসের প্রভাব খুলনার রাস্তয় কমেছে জন সমাগম খুলনার পুলিশ সুপার শফিউল্লাহ করোনা আক্রান্ত খুলনার জেলা প্রশাসক হেলাল হোসেন ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড’ অ্যাওয়ার্ড পেলেন খুলনার তেরখাদা থানার রবিউল হত্যার রহস্য উম্মোচন খুলনা টুটপাড়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন বই বিতরণ চিতলমারীতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্কুল ড্রেস বিতরণ মাদকের বিরুদ্ধে কথা বলায় সাংবাদিকের পরিবারের উপর হামলা: আহত-১ খুলনায় ডুমুরিয়ায় সরকারী খাল ভরাট’র অভিযোগ সাতক্ষীরায় প্রথম করোনা জয়ী স্বাস্থ্যকর্মীকে ফুলেল শুভেচ্ছা খুলনায় ‘মাস্ক নাই যার, বাজার নাই তার চিতলমারীতে করোনা প্রতিরোধে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের ভূমিকা বিষয়ক সভা SHARES Matched Content খুলনা বিভাগ বিষয়: আউটসোর্সিং কর্মচারীরাখুলনারবিনা বেতনে কাজ করছেস্বাস্থ্য বিভাগে