তিন কোচের হাতে বদলে গেছে কোহলির ক্যারিয়ার

প্রকাশিত: ৫:০২ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৬, ২০২০

স্পোর্টস ডেস্ক : বর্তমান বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি। অনেকেই আবার ‘অন্যতম’ শব্দটি ব্যবহার করতে চান না। এক বাক্যে বর্তমান সময়ের সেরা মেনে নেন তাকে। কোহলির ব্যাটের জাদুই অবশ্য সবাইকে এটি বলতে বাধ্য করে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখনও পর্যন্ত ৭০টি সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন কোহলি, রান করেছেন প্রায় ২৩ হাজারের কাছাকাছি। ক্যারিয়ারের এরই মধ্যে জিতেছেন ওয়ানডে বিশ্বকাপ, আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি এবং টেস্ট ম্যাক।

এছাড়া ব্যক্তিগত সাফল্যের বিচারে আইসিসির বর্ষসেরা খেলোয়াড় হয়েছেন কয়েকবার। টানা তিন বছর ছিলেন উইজডেনের শীর্ষ ক্রিকেটার। এর বাইরে ম্যাচসেরা, সিরিজসেরার পুরষ্কার জেতার রেকর্ড রয়েছে অজস্র।

নিজের ক্যারিয়ারের এর সব সাফল্যের পেছনে তিন কোচকে বেশি কৃতিত্ব দেন কোহলি। তারা হলেন গ্যারি কারস্টেন, মার্ক বাউচার এবং ডানকান ফ্লেচার। কোহলির মতে এ তিনজন সবসময় ইতিবাচকভাবে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা দিয়েছেন।

এবি ডি ভিলিয়ার্সের সঙ্গে ইন্সটাগ্রাম লাইভে কোহলি বলেছেন, ‘আমার বয়স তখন ১৯, গ্যারি কারস্টেনের সঙ্গে একটা প্র্যাকটিস সেশন হলো। আমার জীবনে সেটা আমি ভুলব না। তার বলা কথাগুলো আমি কোনদিনও ভুলব না। একজন মানুষের জীবনে কিছু কিছু কথার প্রভাব এতটাই হতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি অল্প কিছু মানুষের নাম বলতে পারি আমার ক্যারিয়ার গড়ার পেছনে। ভারতীয় দলের ঢোকার পর অবশ্যই গ্যারি ছিলেন আমার প্রথম কোচ যার সঙ্গে সামনাসামনি কথা বলেছি। সে সবসময় ইতিবাচক পরামর্শ দিতো।’

‘ব্যাটিংয়ে আমার সামনের পা নিয়ে সবসময়ই সমস্যা হতো। এ বিষয়ে তার সঙ্গে আমি কথা বলতাম। সে বলতো, তোমার মাথার অবস্থান তো ঠিক আছে। তাহলে পায়ে লাগা নিয়ে দুশ্চিন্তা করছ কেন? এমন ইতিবাচক কথাগুলো সবসময়ই আমাকে সাহায্য করেছে। বিষয়টা খুব কঠিন কিছু না। শুধু দেখার দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন।’

গ্যারি কারস্টেনের আগে কোহলির শর্ট বল দুর্বলতা নিয়ে কাজ করেছেন আরেক দক্ষিণ আফ্রিকান কোচ মার্ক বাউচার। তার বলা একটি কথা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কোহলিকে অনেক সাহস দিয়েছে।

বাউচারের কথা বলতে গিয়ে তিনি জানান, ‘গ্যারির আগে আইপিএলে মার্ক বাউচার আমাকে নিয়ে কাজ করেছে। সে তখনই বলতো যে, চার বছর পর আইপিএলে ধারাভাষ্য দিতে এসে যদি দেখি যে তুমি ভারতের জাতীয় দলে নেই, তাহলে আমিই দুনিয়ার সবচেয়ে হতাশ ব্যক্তি হবো। জাতীয় দলে খেলার মন্ত্রটা আমার মাথায় গেথে দিয়েছিল সে।’

‘নেট প্র্যাকটিসে আমাকে টানা শর্ট বল করে যেত সে। আর বলত, যদি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে চাও, তাহলে শর্ট বলের মোকাবিলা করতে শেখো। অন্যথায় (আন্তর্জাতিক খেলার কথা) ভুলে যাও। তার সেই লক্ষ্যটা ছিল, আমাকে আন্তর্জাতিক খেলতে দেখার। এটা খুবই বিশেষ একটা দিক।’

এছাড়া তৃতীয় কোচ হিসেবে কোহলি জানান ডানকান ফ্লেচারের কথা। তিনি বলেন, ‘এরপর বলতে হবে ডানকান ফ্লেচারের নাম। খেলার প্রতি তার তীক্ষ্ণ দৃষ্টি এবং কাজের সঙ্গে নিবিড়ভাবে মিশে যাওয়া তার বিশেষত্ব ছিল। সে আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে।’