আখাউড়ায় গ্রামে ফাঁটল; ধসের আশঙ্কায় সতর্কতা জারি

প্রকাশিত: ৬:০৬ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৫, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার সীমান্তবর্তী মনিয়ন্দ ইউনিয়নের জয়পুর গ্রামে একাধিক জায়গাতে ফাঁটলের কারণে ধসের আশঙ্কায় সতর্কতা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন।

শনিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক ও স্থানীয় সংসদ সদস্যের নির্দেশে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তার রেইনা ও ওসি রসুল আহমদ নিজামী ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা পরিদর্শন করেন।

দুপুরের দিকে মনিয়ন্দ ইউনিয়নের জয়পুর গ্রামে বসবাস করা লোকজনকে গ্রাম থেকে নিরাপদ স্থানে চলে যাওয়ার জন্য গনবিজ্ঞতি জারি করা হয়। এসময় স্থানীয় সংসদ সদস্য আইন মন্ত্রী আনিসুল হক মোবাইল ফোনে স্থানীয় গ্রামবাসীকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে আহবান জানান। এসময় আখাউড়া উপজেলা প্রসাশনের পক্ষ থেকে মাইকিং করে বিকাল ৪টার মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ত্যাগ করে ওই ইউনিয়নের দু’টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অবস্থান করার অনুরোধ জানানো হয়। যে কোনও ধরনের দুর্যোগ এড়াতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। জয়পুর গ্রামে অন্তত ২০টি স্থানে মাটিতে ফাঁটল দেখা দেওয়ার ঘটনায় গ্রামবাসীর মধ্যে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, কয়েক বছর আগে জয়পুর গ্রামে একটি গভীর নলক‚প বসানোর সময় ওই এলাকায় একটি ফাঁটলের সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে ওই এলাকায় অন্যদিকে আরও কয়েকটি ফাঁটল দেখা দেয়। তিনি বলেন, বৃহ¯পতিবার ভারী বৃষ্টির ফলে হঠাৎ করে ওই গ্রামের একটি বসত ঘরসহ অন্তত ২০টি স্থানে নতুন করে ফাঁটলের সৃষ্টি হলে জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। প্রথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে গ্রামটি উচু টিলার (ছোট পাহাড়) ওপর হওয়ায় এবং চতুরদিকে অপেক্ষাকৃত নিচু জায়গা থাকায় এধরণের ফাঁটল দেখা দিয়েছে। মনিয়ন্দ গ্রামের বাসিন্দা রিয়াদ চৌধুরি বলেন, প্রতিটি ফাঁটল ৭০ থেকে ১শ গজ দূরত্ব হওয়ায় বড় ধরণের দূর্ঘটনার আশঙ্কায় জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তার রেইনা বলেন, ওই গ্রামের নিম্ন মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত অর্ধশতাধিক পরিবারের অন্তত ৩০০শ মানুষ টিলা ধসের ঝুঁকিতে বসবাস করছে। জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন ও স্থানীয় সংসদ আইন মন্ত্রী আনিসুল হকের নির্দেশে জরিপ করে ঝুঁকিপূর্ণ পরিবারের সংখ্যা নিরূপণ করা হয়েছে। টিলা (ছোট পাহাড়) ধসের হুমকিতে থাকা এসব পরিবারের সদস্যদেরকে ইতোমধ্যে নিরাপদস্থানে পুনর্বাসন করার আহবান করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

তিনি আরো বলেন, মন্ত্রী মহোদয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী গ্রামবাসীকে ঝুঁকিমুক্ত নিরাপদস্থানে রেখে সকল পরিবারের খাদ্যসামগ্রীর ব্যবস্থা করা হবে।