স্বাস্থ্যবিধি মেনে গাইবান্ধা থেকে আত্রাইয়ে এলো ধান কাটা শ্রমিক

প্রকাশিত: ৩:৫০ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৫, ২০২০
স্বাস্থ্যবিধি মেনে গাইবান্ধা থেকে আত্রাইয়ে এলো ধান কাটা শ্রমিক

নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর আত্রাইয়ে ধান কাটার মৌসুমে যখন চাষীরা শ্রমিক সংকটে চিন্তিত, সেই মুহূর্তে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গাইবান্ধা থেকে আত্রাইয়ে এলো ৭১জন ধান কাটা শ্রমিক।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান মিয়া বিপিএম এর সার্বিক তত্তাবধায়নে আত্রাই থানা পুলিশের উদ্যোগে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুক্রবার বিকেলে গাইবান্ধা থেকে ৭১জন ধান কাটা শ্রমিক দুটি বাস যোগে উপজেলার প্রবেশদ্বার মিরাপুর এলাকায় এসে পৌচ্ছালে তাদের প্রত্যেক শ্রমিককে থার্মাল স্ক্যানার দ্বারা পরীক্ষা করা হয়। ধান কাটা শেষে প্রত্যেক শ্রমিককে তাদের নিজ বাড়িতে পাঠানো হবে বলে জানান আত্রাই থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোসলেম উদ্দিন।

এসময় আত্রাই থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোসলেম উদ্দিন, থানার তদন্ত (ওসি) গোলাম মোস্তফা, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বাবু, সাংবাদিক নাজমুল হক নাহিদ, এসআই প্রদীপ, এএসআই নজরুল, এএসআই শাহিনুরসহ সঙ্গীয় ফোর্স উপস্থিত ছিলেন।

এ ব্যাপারে ধানকাটার উদ্দেশ্যে আত্রাইয়ে আসা শ্রমিক শুভ, সাহেদ, ছালাম বলেন, করোনা ভাইরাসের মুহূর্তে জীবনের ঝুকি নিয়ে স্ত্রী সন্তানদের রেখে গাইবান্ধা জেলা থেকে নওগাঁর আত্রাইয়ে ধান কাটতে এসেছি। কিছুদিন কর্মহীন অবস্থায় থাকায় সরকারের পুলিশ বিভাগ আমাদের কর্মসংস্থানের যে উদ্যোগ নিয়েছে তাতে আমরা খুশি। ধান কাটা ও মাড়াই শেষে যাতে সুস্থ্যভাবে আপনজনদের কাছে ফিরে যেতে পারি সকলের কাছে এই দোয়া কামনা করছি।

এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বাবু বলেন, নিয়মকানুন মেনেই সকলকে থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে শরীরের তাপমাত্রা মেপে উপজেলায় প্রবেশ করানো হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আরও যারা ধান কাটার জন্য এ উপজেলায় প্রবেশ করবে সবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে তবেই এ উপজেলায় প্রবেশ করানো হবে। তিনি আরো বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে আমরা ওইসব শ্রমিকদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করব।

এ ব্যাপারে আত্রাই থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোসলেম উদ্দিন বলেন, আত্রাই থানা পুলিশের উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ধান কাটার উদ্দেশ্যে শ্রমিক এ উপজেলায় প্রবেশ করলেই আমারা তাদের সবাইকে থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে শরীরের তাপমাত্রা মেপে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে উপজেলায় প্রবেশ করতে দিচ্ছি এবং এ প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে। এতে ধান চাষীদের উপকারের পাশাপাশি শ্রমিকদেরও স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকবে না ও তারা আর্থিক ভাবেও লাভবান হবে।

তিনি আরো বলেন, ৩৮ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে এখন পর্যন্ত আমরা কাউকে পায়নি। তা ছাড়া এ ধরনের কাউকে পাওয়া গেলে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে তাকে হাসপাতালে প্রেরণ করবো। তিনি শ্রমিকদরে উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা সবসময় ছয় ফুট দরত্বে অবস্থান করবেন এবং পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন।