রাণীনগরে শিলা বৃষ্টিতে ফসল ও বাড়ী ঘরের ব্যপক ক্ষতি!

প্রকাশিত: ৬:২০ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৪, ২০২০

নাজমুল হক নাহিদ, নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর রাণীনগরে শিলা বৃষ্টিতে ফসল ও বাড়ী ঘরের ব্যপক ক্ষতি হয়েছে। কয়েকটি এলাকার জমির ধান,মৌসুমি বিভিন্ন রকম ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়া শিলা বর্ষনে বাড়ী ঘরের টিন ছিদ্র হয়ে ঝাজড়া হয়ে গেছে। এতে ক্ষতির মূখে পরেছেন হাজার হাজার কৃষকসহ সাধারণ মানুষ।

জানা গেছে,বুধবার বিকেলে হঠাৎ করেই পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম আকাশে কালো মেঘ দেখা দেয়। কিছু ক্ষনের মধ্যেই বৃষ্টি শুরু হয়। এর মধ্যেই বৃষ্টির সাথে প্রবল বেগে শিল পরতে থাকে । এতে উপজেলার বড়গাছা,আকনা বাঁশবাড়িয়া, গিরিগ্রাম,শলা, পানলা,ভাটকৈ, চামটা,আমিরপুর, লক্ষিকোলা, গুয়াতা, উজালপুর জলকৈ,সরিয়াসহ বেশ কিছু এলাকার কয়েক হাজার হেক্টর জমির পাকা,আধা পাকা ধান নষ্ট হয়ে যায়্।

এছাড়া শিলা বর্ষনে শত শত বাড়ী ঘরের টিন ছিদ্র হয়ে ঝাঁজড়া হয়ে যায়। ভাটকৈ গ্রামের শাহাজান আলী জানান,তিনি প্রায় ২৮ বিঘা জমিতে ধান রোপন করেছেন। শিলা বর্ষণে সব ধান ঝরে পরে গেছে। বিঘা প্রতি হয়তো এক/দুই মন করে ধান পেতে পারি।

চামটার মিলন, গুয়াতা গ্রামের নওশাদ,জলকৈ গ্রামের দুলাল চন্দ্র, আকনা গ্রামের মোসলেম উদ্দীনসহ আরো কৃষকরা জানান, পাকা ধান সম্পন্ন নষ্ট হয়ে গেছে। তবে যে দু/চার বিঘা জমির ধান কিছুটা কাঁচা রয়েছে সে সব জমিতে হয়তো কিছু ধান পাওয়া যাবে। এছাড়া বিঘা প্রতি দেড়/দুই মন করে ধান পাওয়া যেতে পারে।সিলমাদার গ্রামের রফিকুল ইসলাম,মোজাম্মেল হোসেন জানান,শিলা বর্ষনে একদিকে মাঠের ধান অন্য দিকে বাড়ীর টিনের ছাউনি ছিদ্র হয়ে ঝাঁজড়া হয়ে গেছে। কৃষকরা বলছেন, এমনিতেই কয়েক বছর ধরে নানা কারনে ধান আবাদে লোকসান লেগেই আছে । এর মধ্যে শিলা বর্ষনে যে ক্ষতি হলো তা হয়তো আর পোষানো সম্ভব হবেনা।

রাণীনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শহিদুল ইসলাম জানান,শিলা বর্ষনে কয়েক এলাকার আনুমানিক প্রায় দেড় দুই হাজার হেক্টর জমির ধান নষ্ট হয়ে গেছে বলে ধারনা করছি। তার পরেও মাঠ পর্যায়ে মাঠ কর্মিরা তালিকার কাজ শুরু করেছে। তালিকা হাতে পেলে ক্ষতির পরিমান বলা যাবে।

রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মামুন বলেন,ক্ষতিগ্রস্থ্য এলাকা পরিদর্শন করেছি। এলাকার চেয়ারম্যান,মেম্বারদেরকে তালিকা তৈরি করে জাম দিতে বলেছি।