ত্রাণ আত্মসাৎ: আরও ১২ জনপ্রতিনিধি বরখাস্ত

প্রকাশিত: ৫:০৯ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৯, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক ; ত্রাণ বিতরণে অনিয়মের অভিযোগে তিন জন ইউপি চেয়ারম্যান ও নয় জন ইউপি সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। রোববার (১৯ এপ্রিল) মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত পৃথক পৃথক প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়।

মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মখদুম কবীর তন্ময়, নাটোরের লালপুর উপজেলার অর্জুনপুর বরমহাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুস সাত্তার ও বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মাঝিহট্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মির্জা গোলাম হাফিজ সোহাগের বিরুদ্ধে ত্রাণ বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ছাড়া, নাটোরের লালপুর উপজেলার অর্জুনপুর বড়মহাটি ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. রেজা, বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. জাকির হোসেন ও ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. রোকনুজ্জামান, ভোলার মনপুরা উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. আব্দুর রব পাটোয়ারী, নড়াইলের কালিয়া উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য শেখ মোশারেফ হোসেন ও ৩নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য রনি বেগম, সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার খাসকাউলিয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. রফিকুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জের সদর উপজেলার বাগবাটি ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. আল-আমিন চৌধুরী এবং ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত সদস্য মোছা আছিয়া খাতুনের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ এসেছে।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট সংকট মোকাবিলায় বরাদ্দ দেওয়া সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল আত্মসাৎ; খাদ্য সহায়তা চাইতে আসা লোকজনকে মারধর; সরকারি নির্দেশ অমান্য করে দেশের সংকটময় মুহূর্তে এলাকায় অনুপস্থিত থাকা ও উপজেলা পরিষদের মাসিক সভায় অনুপস্থিতসহ বিভিন্ন তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। অনিয়মের অভিযোগে ইতোমধ্যে কেউ কেউ গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন এবং কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে।

অপরাধমূলক কার্যক্রম জনস্বার্থের পরিপন্থী বিবেচনায় স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ এর ৩৪ (১) ধারা অনুযায়ী জনপ্রতিনিধিদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একইসঙ্গে, কেন তাদের কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

নোটিশ পাওয়ার ১০ কার্যদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগকে জবাব দিতে বলা হয়েছে- কেন তাদের চূড়ান্তভাবে অপসারণ করা হবে না। গত ১২ এপ্রিল তিন জন ও ১৫ এপ্রিল নয় জন ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল।