গৌরীপুরে ধান ক্রয়ের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রাত ৯ টা পর্যন্ত খোলা রাখার দাবী

প্রকাশিত: ২:২৬ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৯, ২০২০

কমল সরকার,গৌরীপুর : চলতি ইরি-বোর মৌসুমে কৃষকদের ধান বিক্রয় করার সুবিধার্থে ধানের ক্রয় কেন্দ্র তথা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলো রাত ৯ টা পর্যন্ত খোলা রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন গৌরীপুর রাইস মিল ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি ও উপজেলা খাদ্যশস্য সংগ্রহ কমিটির সদস্য ইকবাল হোসেন জুয়েল।

সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে এক বার্তায় তিনি বলেন করোনা বিস্তার রোধে সারাদেশে লকডাউন চলার কারনে পরিবহন সংকটে মানুষের প্রধান ভোগ্যপন্য চাল এর সরবরাহ ব্যবস্থা ইতিমধ্যে অনেকাংশে ভেঙ্গে পড়েছে।পাশাপাশি চালের একমাত্র কাচামাল ধান পরিবহনও থমকে গেছে। যার ফলে দিন দিন চালের বাজার নিয়ন্ত্রনহীন হয়ে সাধারনের ক্রয় ক্রমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় এপ্রিলের শেষ সপ্তাহ থেকে পুরোদমে ধান কাটা শুরু হলে চালের বাজার স্বাভাবিক ভাবেই নিয়ন্ত্রনে আসবে। তবে সরকার নির্ধারিত লকডাউনের সময়সীমার কারনে কৃষকদের ধান বিক্রিতে চরম ভোগান্তির মাঝে পড়তে হবে জানান তিনি।

তিনি আরো বলেন দেশের ৮০ ভাগ প্রান্তিক কৃষক তাদের ক্ষেতের পাকা ফসল শ্রমীক ভাড়া করে কেটে মাড়াই করে ভিজা অবস্থাতেই তার একটা অংশ ধানের মোকামে নিয়ে বিক্রি করে শ্রমীকদের মজুরি,বাকীতে কেনা সার ও সেচের পানির টাকা পরিশোধ করে। এজন্য ফসলের মাঠ থেকেই কৃষকরা সরাসরি ভিজা ধান বস্তাবন্ধি করে মোকাম বা ধানের আড়তে নিয়ে যায়। এতে অনেক সময় রাত ১০ টা পর্যন্ত বেজে যায়। পাশাপাশি ভিজা ধান ২/১ দিন এর বেশী বস্তাবন্ধি করে রাখলে তা গরম হয়ে পচে যায়।

যে কারনে ভিজা ধান কাটার সাথে সাথেই বিক্রি করে দেন তারা। মৌসুমের শুরুতেই ধান কাটার ফলে স্থানীয় বাজারে তুলনামূলক বেশী দামে কৃষক সে ধান বিক্রি করতে পারে। পাশাপাশি গৌরীপুর উপজেলাতে ১২টি স্বয়ংক্রিয় রাইস মিল থাকায় ভিজা ধানের চাহিদাও শুকনো ধানের সমপর্যায়ে থাকে। কারন হিসেবে তিনি বলেন কাচা – ভিজা সদ্যকাটা ধানে কাচা দানার কারনে উক্ত ধানের চাল শুকনো ধানের চালের চেয়ে গুনগত ভাবে উন্নত হওয়ায় ক্ষেত্র বিশেষ ভিজা ধানের চাহিদা বেশী থাকে।

এসবদিক বিবেচনায় নিয়ে ধান ও চালের সরবরাহ ও বাজার মূল্য স্বাভাবিক রাখার পাশাপাশি কৃষকদের বৃহৎ স্বার্থে ধানের মোকাম বা ধান ব্যবসায়িদের দোকান সকাল থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত খোলা রাখার অনুমতি প্রদান জরুরি বলে তিনি জানান । পাশাপাশি উক্ত বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দ্রুত বিবেচনার জন্য তিনি প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ করেন।

এ ব্যাপারে গৌরীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেঁজুতি ধরের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান জরুরী কৃষি পন্য হিসেবে সরকার ধান ও চাল ক্রয় বিক্রয় লকডাউনের আওতামুক্ত রেখেছে। অধিক গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় ধানের আড়ত ও দোকান গুলো বর্তমানে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত খোলা রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে, পরবর্তীতে নতুন করে সরকারী সিদ্ধান্ত আসলে সময় বাড়ানোর বিষটি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা হবে বলে তিনি জানান।