কেন্দুয়ায় খোলা বাজারের ৯০ বস্তা চাল কালো বাজারে : ডিলারসহ গ্রেফতার-২

প্রকাশিত: ৫:০৪ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১১, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক : সরকারি খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১০ টাকা কেজি দরে বিক্রির ৯০ বস্তা চাল (প্রায় সাড়ে চার হাজার কেজি) জব্দ করে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। শুক্রবার বিকালে ওই চাল জব্দ করে পুলিশ।
পরস্পর যোগসাজসে ও কালো বাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে ওই চাল ডিলারের নির্ধারিত গুদামে না রেখে রোয়াইল বাড়ী বাজার এলাকায় একটি ভাঙ্গারী দোকানে গোপন করে রাখা হয়েছিল।

গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ৯০ বস্তা চাল জব্দ করে এবং ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ডিলার আমিনুল ইসলাম শাকিল ও ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলামকে গ্রেফতার করে শনিবার দুপুরে নেত্রকোণা আদালতে পাঠিয়েছে।

এ ঘটনায় কেন্দুয়া থানাধীন পেমই তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) খায়রুল বাশার বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ডিলার আমিনুল ইসলাম শাকিল ও ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলামকে আসামী করে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে কেন্দুয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ডিলার আমিনুল ইসলাম শাকিল রোয়াইলবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কেন্দুয়া থানা পুলিশের এস.আই ছামেদুল হক জানান, জব্দকৃত ৯০ বস্তা চাল পুলিশ হেফাজতেই রয়েছে। আদালতের নির্দেশনা পেলে ওই চালের বিষয়ে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। তিনি জানান, মামলার এজাহার ভূক্ত আসামী ডিলার আমিনুল ইসলাম শাকিল ও ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলামকে নেত্রকোণা আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির খোলা বাজারের চাল কালো বাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে অন্যত্র গোপন করে রাখার বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নেমেছে প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের নির্দেশে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ খবিরুল আহসানের নেতৃত্বে খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সঞ্জয় মোহন দত্ত রোয়াইলবাড়ি বাজার এলাকায় শনিবার দুপুরে তদন্তে যান।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) জানান, তদন্ত শেষে ওই রিপোর্ট উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে জেলা প্রশাসনের নিকট পাঠানো হবে।

এদিকে খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সঞ্জয় মোহন দত্ত জানান, খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ডিলার আমিনুল ইসলাম শাকিল গত ৫ এপ্রিল স্থানীয় খাদ্য গুদাম থেকে ১১ মেট্রিকটন ৩৪০ কেজি চাল একটি ডিও’র মাধ্যমে উত্তোলন করেন।